উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলার সংশোধনাগারে বন্দি শবনমকে নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়ে। সম্প্রতি তার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিটি রামপুর সংশোধনাগের তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর পর তদন্ত শুরু হয়ে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়। আর এরপর শাস্তির মুখে পড়েছেন সেখানকার দুই কর্মী। এক মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী আর এক পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও।
কে এই শবনম
অমরোহার বাসিন্দা শবনম। আমরোহার যাবন গ্রামে থাকত সে। তার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল সেলিম নামে একটি যুবকের সঙ্গে। আর তার প্রেমিকের জন্য নিজের পরিবারের সাত জনকে খুন করে দিয়েছিল সে। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। আর ফাঁসির শাস্তি দেয়। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা অন্য কারণে মনে রাখা হবে।
কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম কোনও মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। আর এই কারণে এই ঘটনা নিয়ে সারা দেশেই চর্চা হচ্ছে। আর বার বারাই সে চলে আসছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এ ব্যাপারে জেলের অধিকর্তা পি ডি সলোনিয়া জানান, রামপুর সংশোধনাগারে এক মহিলা বন্দির সঙ্গে শবনমের একটা ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ওই ছবি দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হয়। এক মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী আর এক পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এই ঘটনায় দোষী। এঁদের বিরুদ্ধে মুরাদাবাদে মণ্ডল সংশোধনাগারে রিপোর্ট জমা পড়েছে।
ইতিমধ্যে শবনমের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি। মৃত্যু পরোয়ানা জারির পরই সম্ভবত তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। দেশে মহিলাদের ফাঁসির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। সেখানে ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে। নির্ভয়া মামলায় দোষীদের ফাঁসি ছিলেন মীরাটের পবন জল্লাদ।