আনন্দপুর থানার এলাকায় একদিনে তিনটি রহস্যমৃত্যু। সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিন জায়গায় তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য। একটি হোটেল, একটি বাড়ি এবং একটি পিকনিক স্পট থেকে উদ্ধার দেহ। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, তিনটি মৃত্যুই একই থানা এলাকার মধ্যে পড়ছে। ঘটনাগুলির তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রথম ঘটনা: গেস্ট হাউসে বার ডান্সারের রহস্যমৃত্যু
রবিবার রাতে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস লাগোয়া এক গেস্ট হাউসে এক বার ডান্সার এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ঢোকেন। ২৭ বছরের ওই তরুণীর বাড়ি লুধিয়ানায় বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে সেই পুরুষ সঙ্গীই বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই গেস্ট হাউসে প্রতিদিন নানা জায়গা থেকে অচেনা মানুষজন আসেন। পাশেই রয়েছে একটি পানশালা। আগেও বহুবার এই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
এদিকে ওই তরুণীর সঙ্গে যিনি ছিলেন, সেই ব্যক্তি এখন বেপাত্তা। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। অতিরিক্ত মাদক সেবন থেকে মৃত্যু হয়েছে কি না, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ঘটনা: পিকনিক স্পটে ঝুলন্ত দেহ
অন্যদিকে একইদিনে আনন্দপুর থানার কাছের এক পিকনিক স্পটে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। গাছের ডালে, মাটি থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু থেকে ওই ঝুলন্ত, পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। বয়স আনুমানিক ৫০ এর কাছাকাছি।
এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। আত্মহত্যা না খুন, পুলিশ দুই দিকই খতিয়ে দেখছে।
তৃতীয় ঘটনা: বাড়ি থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার
সোমবার বিকেলে আনন্দপুর থানার অন্তর্গত নোনাডাঙায় আরও এক দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির বিছানা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
নোনাডাঙা খাল থেকে জোড়া দেহ
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নোনাডাঙা খালে দুই যুবক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়।
প্রথমে রোহিত আগরওয়াল নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই রণিতা বৈদ্য নামে এক যুবতীর দেহ মেলে। তদন্তে জানা গিয়েছে, রোহিতের কাছে স্কুটার চালানো শিখছিলেন রণিতা। সিসিটিভি ফুটেজে রাতের অন্ধকারে তাঁদের একসঙ্গে খালের পাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল।