তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্মাণ ঘিরে বারাসতে উত্তেজনার পরিবেশ। অভিযোগ, জমির মালিকের আপত্তি সত্ত্বেও ওই অস্থায়ী পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছিল। জমির মালিক ও তাঁর বন্ধুরা কাজ শুরু করলে এসে বাধা দেওয়ায় তাঁদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে খবর পেয়ে এলাকার পৌরমাতা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আক্রান্ত জমির মালিকের দাবি, তিনিও একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। বিনা অনুমতিতে তাঁর জমির উপর এই পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছিল। তাই তিনি বাধা দিয়েছেন। যার ফলে তাঁকে ধরে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে।
জমির মালিক বাবু রায়ের অভিযোগ, প্রায় ২ বিঘা জমিতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তাঁর জমি রয়েছে। সেই জমির উপর বারাসাত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলস প্রেসিডেন্ট বিবেক রায় জোরপূর্বক দলবল নিয়ে এসে একটি অস্থায়ী পার্টি অফিস তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। তখনই জমি মালিক এবং তাঁর বন্ধুরা এসে সেই পার্টি অফিস তৈরি করতে বারণ করলে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে বিবেক রায় এবং তাঁর দলবল। পরবর্তীকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাসাত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা তন্নিষ্ঠা খাসনবিশ। তিনিই পরিস্থিতি সামাল দেন। জমি মালিকের দাবি, তিনিও একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী এবং বিনা অনুমতিতে বিবেক রায় তাঁর ক্ষমতার জোরে এই পার্টি অফিস তৈরি করছিলেন। তাই তিনি বাধা দিয়েছেন। আর তাতেই তাঁকে ধরে মারধর করা হয়েছে।
যদিও এই ঘটনাটিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ স্থানীয় কাউন্সলির। তাঁর মতে একটি একান্তই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বিজেপি নেতার দাবি, যেভাবে বিরোধী শূন্য করার পরিণতিতেই এই ঘটনা ঘটছে। তোলাবাজি, কাটমানি ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস চলে না। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। ২০২৬-এ তৃণমূলের বিদায় আসন্ন।