বগটুইকাণ্ডে এবার সরাসরি রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়ালেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মিহিলাল শেখ বলেন, বগটুই গ্রামে ভাদু শেখ গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদ মেটানোর জন্য বহু আগেই গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিবাদ মেটানোর কোনও উদ্যোগ নেননি। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আনারুল হোসেনকে দিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেও অভিযোগ মিহিলারের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ বলেন, তিনি পুরো বিষয়টি সিবিআই-এর কাছে জানাবেন। পাশাপাশি আশিস বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (সমু) দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন মিহিলাল। তিনি বলেন,"আমি এতদিন মুখ খুলিনি। ভেবেছিলাম সবাইকে জড়াবো না। কিন্তু উপায় নেই। আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে বহুবার আশিস বন্দোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলাম। আমাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো সমু আমাদের উপর ভীষণ অত্যাচার করেছে। আনারুলকে ব্লক সভাপতি আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় রেখে দিয়েছিলেন। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আনারুলকে বলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।"
যদিও এই বিষয়ে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"মিহিলাল শেখানো বুলি বলছে। দলেরই কেউ আমাকে নিয়ে চক্রান্ত তৈরি করছে। হঠাৎ এক মাস পরে আমার নাম কেন এল?" প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন ১ নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তারপরেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন শিশু ও মহিলাসহ ৭ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটনায় আহত আরও দুই মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনার হাইকোর্টের নির্দেশে ৯ জনের খুনের তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনসহ মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন - আজ থেকে ৩ দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, হতে পারে কালবৈশাখীও