বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে যুবকের দেহ। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লীতে। দুষ্কৃতীরা ফোন করে ওই যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে বাড়ির সামনে রাস্তায় দেহ ফেলে দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ ২৯ বছর বয়সি সুদীপ দে নামে ওই যুবকের মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনে কথা বলার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুদীপ। তারপর রাতভর আর বাড়ি ফেরেননি ওই যুবক। এরপর সোমবার সকালবেলা সুদীপের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর যায় সুদীপের বাড়িতেও। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সুদীপের বাড়ির সদস্যরা। এরপর সুদীপের মা করুণা দে ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ সূত্রে খবর, সুদীপের গলায় দড়ির একাধিক দাগ পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। সূত্রের খবর, সুদীপ স্থায়ীভাবে কোনও কাজ করতেন না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন তিনি। কখনও টোটো চালাতেন, তো কখনও আবার দিনমজুরের কাজও করতেন।
সুদীপের মা করুণা দে-এর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। যদিও কে বা কারা, কী কারণে সুদীপকে খুন করল তা নিয়ে ধন্দ্বে পুলিশ থেকে এলাকাবাসী, সকলেই। ছেলের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন করুণাদেবী। পুলিশ সুদীপের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই ওই খুন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত সুদীপের মোবাইল ফোনটির হদিশ পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে সুদীপের মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া গেলেও অনেক রহস্যের সমাধান হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।