বেলঘরিয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার ৬। ধৃতদের নাম তন্ময় বোস, রফিক আলি, সনু কুন্ডু, সুভাষ গমোস্তা, ঋতুরাজ চক্রবর্তী ও বিপ্র মণ্ডল। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমাও। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চলে। ধৃতদের আজ ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় নগরের বিভামোড় এলাকা। গতকাল রাতে সেখানে অবস্থিত তৃণমূলের পার্টি অফিসে গুলি চলে। ২ জন তৃণমূল কর্মী জখম হন। তৃণমূলের অভিযোগ, পাঁচটি বাইকে চেপে ৮-১০ জন দুষ্কৃতী পার্টি অফিসে হামলা চালায়। তারা অফিসের ভিতর ঢুকে তৃণমূল কর্মী মানস বর্ধনকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে তাঁর উপর গুলি চালায়। শুভ গায়েন নামে আর এক তৃণমূল কর্মীকেও বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটনার পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জখম ২ জনকে কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর এবং পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য বিশ্বজিৎ সাহা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর এবং পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সমীরণ দাস ও কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মদন মিত্র। ঘটনাস্থলে আসে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ বাহিনী। তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
রাতের এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর প্রায় ৫ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
সূত্রের খবর, প্রোমোটিং এবং জমির কেনাবেচার সিন্ডিকেট ও এলাকা দখল নিয়ে এই বিবাদ।
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র BJP-র দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, 'এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে বিজেপি। কারণ ওরা শেষ হয়ে গিয়েছে। দমদম, নন্দননগর, পানিহাটি থেকে দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালিয়েছে।'
যদিও মদন মিত্রর অভিযোগ অস্বীকার করেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি পাল্টা বলেন, তৃণমূলের লোকজনই ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে।