একজনের মৃত্যু হয়েছিল আগেই। এবার অপরজন হারাল দৃষ্টিশক্তি। বীরভূমের মাড়গ্রামে (Margram Birbhum) বোমা বিস্ফোরণে জখম দ্বিতীয় শিশু দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারাল। শিশুটির বাড়ি বীরভূমের নলহাটিতে। গতমাসের শেষে মামারবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মাসতুতো ভাইয়ের সঙ্গে খেলার সময় আচমকাই ঘটে বিস্ফোরণ। তাতে আহত হয় দুই শিশু। গত ২৮ ডিসেম্বর এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলাকালিন মৃত্যু হয় এক শিশুর। আর এবার দৃষ্টিশক্তি হারাল অন্যজন।
জানা গিয়েছে, গত মাসে মামার বড়িতে বেড়াতে যায় ওই শিশু। মামার বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে ওই শিশু ও তার মাসতুতো ভাই খেলা করছিল। সেখানেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে ঘটে যায় বিস্ফোরণ। সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎ প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ পান গ্রামবাসীরা। জানা যায়, বিস্ফোরণের তীব্রতায় দুটি শিশুরই মুখ পুড়ে যায়। গুরুতরভাবে আগাত লাগে দুই হাতেও।
তড়িঘড়ি দুই শিশুকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাদের কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে রেফার করে দেন। সেখানেই গত ২৮ তারিখ ভোররাতে মৃত্যু হয় এক শিশুর। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া ক্ষত অত্যন্ত বেশি থাকার কারণে, রক্তচাপ কমে গিয়েছিল ওই শিশুটির। তার জেরেই মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দ্বিতীয় শিশুর চিকিৎসা চলছিল। বোমার আঘাতে মারাত্মক জখম হয় সেও। চিকিৎসকদের লাগাতার প্রচেষ্টার পরেও বাঁচানো গেল না চোখ দুটি। দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তিই হারাল ওই শিশু।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জায়গায় বোমার আঘাতে আক্রান্ত হয়েছে শৈশব। এমনকী বোমা বিস্ফোরণের জেরে একাধিক শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। বারাবার একই ধরনের ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলই (TMC) এই ধরনোর বোমা মজুদ করছে, আর অজান্তে সেই সব বোমা ফেটেই শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোদীদের। যদিও বিরোধীদের কথা পুরোপুরিই ভিত্তিহীন বলে দাবি শাসকদলের।