Advertisement

Rampurhat Violence : বাংলার কিছু গণহত্যা, বাম সরে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা

বাম আমলের ছোট আঙারিয়াকাণ্ডও (Chhoto Angaria Massacre) কার্যত রামপুরহাটের (Rampurhat Violence) ঘটনার মতোই ছিল। বীরভূমের মতো সেখানেও ১১ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। আর তাদের মধ্যে কারও দেহও উদ্ধার হয়নি। ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি মেদিনীপুরের ছোট আঙাড়িয়ায় একটি বাড়িতে ১১ জন তৃণমূল কার্মীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। 

রামপুরেহাটে আগুনে পুড়ে মৃত্যু
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 24 Mar 2022,
  • अपडेटेड 8:47 AM IST
  • বাংলায় গণহত্যার ঘটনা আগেও ঘটেছে
  • বাম আমলে রয়েছে একাধিক প্রমাণ
  • সেই ঘটনাগুলিই ক্ষমতার কাছাকাছি এনেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

পশ্চিমবঙ্গে গণহত্যার ঘটনা এই প্রথম নয়, আগেও ঘটেছে। বাম আমলের ছোট আঙারিয়াকাণ্ডও (Chhoto Angaria Massacre) কার্যত রামপুরহাটের (Rampurhat Violence) ঘটনার মতোই ছিল। বীরভূমের মতো সেখানেও ১১ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। আর তাদের মধ্যে কারও দেহও উদ্ধার হয়নি। ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি মেদিনীপুরের ছোট আঙাড়িয়ায় একটি বাড়িতে ১১ জন তৃণমূল কার্মীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। 

সিপিএম-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে দলের বৈঠক চলছিল। সেই সময়ই সিপিএম-এর লোকেরা বাড়ি ঘিরে ফেরে বলে অভিযোগ। লালবাতি লাগানো গাড়িতে মৃতদেহগুলিকে তুলে লোপাট করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। 

কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন মমতা
যে সময় এই ঘটনা ঘটে তখন কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকমাসের মধ্যেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। তবে তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে যায় অভিযুক্তরা।  

বীরভূমে ১১ কৃষককে হত্যার অভিযোগ
ছোট আঙারিয়াকাণ্ডের প্রায় ১ বছর আগে ২০০০ সালের জুলাই মাসে বীরভূমের নানুরে (Nanoor Massacre) জমি বিবাদের জেরে ১১ জন ভূমিহীন কৃষককে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাতেও সিপিএম সমর্থিত জমির মালিকের বিরুদ্ধেই ওঠে অভিযোগ। প্রথমদিকে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মামলায় বিচার পেতে দীর্ঘ ১০ বছর সময় লেগে যায়। ২০১০ সালে দায়রা আদালত ৪৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ঘটনায় দোষীরা সিপিএম-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা যায়।

২০০৭-এ নন্দীগ্রামকাণ্ড
বাম আমলের অন্যতম বড় গণহত্যার ঘটনা ঘটে যায় নন্দীগ্রামে (Nandigram Violence)। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ ১৪ জনের গুলিতে মৃত্যু হয়। সেই সময় জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছিল বাম সরকার। তারই বিরোধিতা করেছিলেন স্থানীয়রা। আর সেই বিরোধী অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বামেদের লোকজনও সামিল ছিল বলে অভিযোগ। সেই আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের অনেকটা কাছাকাছি এনে দিয়েছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

Advertisement

মেদিনীপুরে গুলিকাণ্ড
এরপরেই আসে নেতাইকাণ্ড (Netai Massacre)। অভিযোগ, সিপিএম-এর এক নেতার বাড়ি থেকে ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আর সেটাই ছিল ৩৪ বছরের বাম সরকারের কফিনের শেষ পেরেক। ওই বছরই বাংলার ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক সপ্তাহে রাজনৈতিক হিংসায় ২৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার উঠছে হিংসার অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, গত ১ সপ্তাহে রাজনৈতিক হিংসায় বাংলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাব, পুলিশি ব্যবস্থায় রাীজনীতিকরণ, অপরাধীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছার অভাব এবং দুর্নীতিই হল এর প্রধান কারণ। 

আরও পড়ুনPetrol Diesel Price In Kolkata : আজও বাড়ল তেলের দাম? জেনে নিন


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement