হাওড়ায় কোমর ও পায়ে দড়ি বেঁধে ওঠ-বস করানো হল এক যুবককে। অমানবমিক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল। যুবকের নাম শ্রীধর চক্রবর্তী। পেশায় তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার।
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি।
হাওড়া জেলা গ্রামীণ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরণ্য সেন ওরফে রাজা সেন জানিয়েছেন, 'এই ঘটনার সত্যতা কতটা, তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। তারপরই মন্তব্য করা যাবে।'
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দলের তরফ থেকে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে? উত্তরে বলেন, 'এই বিষয়ে আমার কাছে এখনও বিস্তারিত তথ্য নেই। লোকাল লিডারের থেকে পুরো বিষয়টি জেনে তারপর তদন্ত করা হবে।'
বিজেপি-র দাবি, এই ঘটনার ছবি তাদের কাছেও এসেছে। হাওড়া গ্রামীণ বিজেপি সভাপতি দেবাশিস সামন্ত জানিয়েছেন, 'এই ধরনের অমানবিক ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটছে। আমাদের মণ্ডল সভাপতিকে বলপ্রয়োগ করে বলা হয়েছে, 'বল তোকে বলেছে এই কথা বলতে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। পুলিশ যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। কারণ ২০২৬-এ সরকার বদল হতে পারে। পুলিশ কি তখনও তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে, না কি নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে? পুলিশকে এখন থেকেই সেই দায়িত্ব বুঝতে হবে।'
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার সুবির্মল পাল জানিয়েছেন, 'ঘটনার ভিডিও সামনে আসার পর আমরা নিজেরাই একটি অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে তোলা হবে।'
পুলিশ সুপার আরও জানান, 'যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এই ঘটনার জেরে হাওড়ায় নতুন করে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। তদন্তে কী উঠে আসে এবং কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে প্রমাণিত হন, এখন সেটাই দেখার।
রিপোর্টারঃ বৈদ্যনাথ ঝা