ঘর থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ সদস্যের মৃতদেহ। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পানুহাট বৈদ্যপাড়ার। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ গৃহকর্তা, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় গৃহকর্তার দেহ। বাকিদের বিছানা ও মেঝেতে দেহ পড়েছিল। ৩ জনের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য এলাকায়।
মৃতদের নাম নইম শেখ, তার স্ত্রী কামরুন বিবি ও মেয়ে পিঙ্কি খাতুন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকাল দশটা বেজে গেলেও ওই বাড়ি থেকে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তখন প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা ডাকাডাকি শুরু করে। তাও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকা হয়।
দেখা যায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে নইম। বিছানায় পড়ে মেয়ে পিঙ্কির নিথর দেহ। আর গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে স্ত্রী কামরুন।
খবর যায় কাটোয়া থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে মৃতদেহ ৩ টি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে নইম।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নইম গাড়ি চালাত। তার আরও ভাই ছিল। সংসার আলাদা হলেও পাশাপাশি থাকত তারা। পরিবার সূত্রে খবর, নইমের মেয়ে পিঙ্কি মূক ও বধির। ক্লাস নাইনে পড়ত সে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, পরিবারে অভাব ছিল। সেই কারণেই নইমের এই চরম সিদ্ধান্ত কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে ৩ জনের মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।