Elvis Yadab: ৫-৬ দিন পর্যন্ত ঘোর... সাপের বিষের নেশা কেমন? যাতে নাম জড়িয়েছে এলভিস যাদবের

সোজাসুজি সাপের কামড় খেয়ে নেশা করার প্রচলন বৃদ্ধি

দিল্লির বাসিন্দা পিআর প্রফেশনাল ঈশান গুপ্তা (বদলে দেওয়া নাম), তিনি জানিয়েছেন যে সাপের বিষ থেকে যে নেশা হয়, সেটি একটি নতুন ধরনের নেশা। যেটি ড্রাগ যারা নেন, তারা খুব পছন্দ করেন। তারা বলেন যে, সাপের বিষ গত বেশ কিছু বছর ধরে পার্টিতে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করছে। কিন্তু অনেকের পক্ষে এটা কেনা সম্ভব হয় না। কারণ সাপের বিষ খুব সহজে পাওয়া মুশকিল।

কিছু লোকেরা নেশা করার জন্য সোজা সাপ দিয়ে দংশন করিয়ে নিতেও চায়। এতে তাদের মনে হয় যে তাদের শক্তি বেড়ে গিয়েছে এবং উত্তেজনা বোধ করেন। কিন্তু কেউ যদি একবারে নেশা করে নেয় তাহলে দ্বিতীয়বার এ নেশা করার জন্য ফিরে আসতেই হয়। যে কোন ড্রাগের নেশার চেয়ে সাপের বিষের নেশা অনেক বেশি পাওয়ারফুল বলে দাবি তাদের। তিনি জানিয়েছেন যে এই বিষয়টি অবাক করে দেওয়ার মতো যে সাপের বিষয়ের নেশা করা লোকেদের সবচেয়ে বেশি বিষাক্ত কোবরার ব্যবহার নেশার জন্য করা হয়। এটি পাউডারের বদলে দেওয়া হয়।

পানীয় সঙ্গে মিলিয়ে কোবরার বিষ পান করেন মানুষ

তিনি বলেন যে, কোবরার বিষ থেকে যে পাউডার তৈরি হয় সেটি ড্রিংসে মেলানো হয়। একাধিকবার এটি ব্যবহার করে মৃত্যু হতে দেখা যায়। রেভ পার্টির খবর যারা রাখেন, তারা জানিয়েছেন যে, পার্টিতে যেখানে সামান্য ড্রাগসের একটা গুলির দাম ২০০০ থেকে ৫ হাজার টাকার বেশি হয়, এখানে সাপের বিষ দিয়ে তৈরি একটি বড়ির দাম ২৫ হাজার টাকার বেশি হয়।

পাঁচ ছয় দিন পর্যন্ত নেশা থাকে

গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আইটি প্রফেশনাল নিকিতা শর্মা (বদলে দেওয়া নাম), তিনি জানিয়েছেন সাপের বিষ শরীরে শক্তি এনে দেয়। তিনি বলেন যে সাপের বিষ থেকে পাওয়া নেশা শরীরে অনেক শক্তি এবং এনার্জি এনে দেয় এবং এটা লম্বা সময় পর্যন্ত নেশা থাকে।  অল্প মাত্রায় নিলে ৫-৬ ঘণ্টা, একটু বেশি মাত্রায় নিলে ৫-৬ দিন পর্যন্ত নেশা থেকে যায়। যদি আপনি সোজাসুজি সাপের কামড় খান, তাহলে নেশা বেশি হয়। যারা নেশা করেন, তারা জানিয়েছেন যে গ্রামের দিকে সাপের বিষ সহজেই পাওয়া যায়। তারা স্কুলের সময় থেকেই সাপের বিষে নেশা শুরু করেছেন।

বিগ বস বিজয়ী হয়ে শিরোনামে চলে আসা এবার এলভিস যাদবের নাম জড়িয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিয়েছেন। তাও যেমন তেমন মামলা নয়, মামলা; বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সঙ্গে জড়িত। যেমন মামলায় ফেঁসে গিয়েছিলেন সালমান খান। দীর্ঘ বছর আইনি লড়াই লড়তে হয়েছে বলিউডের ব্যাড বয়কে। এবার তেমনি সমস্যায় পড়তে চলেছেন এলভিএস। জানা গিয়েছে, এলভিসের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত আইনি ধারা লাগু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেআইনিভাবে রেভ পার্টি আয়োজন করার অভিযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে তিনি পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি এনজিওর অপারেশন এরপর নয়ডা পুলিশকে তথ্য ও অভিযোগ দায়ের করে। এর পরই পুলিশ আসরে নেমে তদন্ত শুরু করেছে।