সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি কলকাতার মোমিনপুরে (Mominpur Violence)। রবিবার হওয়া ওই সাম্প্রদায়িক হিংসার পর আজ অর্থাত্ সোমবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) গ্রেফতার করল পুলিশ। সুকান্তর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও কয়েকজন বিজেপি নেতাকেও। মোমিনপুরের ঘটনার জেরে একবালপুর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি (144) করল পুলিশ। ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বজায় থাকবে।
পুলিশ নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ওই এলাকায় ৫ জন বা তার বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবে না। কোনও রকম অস্ত্র রাখা যাবে না। সে ক্ষেত্রে তত্ক্ষণাত্ গ্রেফতার করা হবে। কোনও ব্যক্তি বা দল এলাকার শান্তি বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে, দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
রবিবার রাতে মোমিনপুরে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। বেশ কিছু গাড়িতে আগুনে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। অভিযোগ, একটি ধর্মীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার পরেই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে মোমিনপুর এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করে লিখেছেন, সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা এখন পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ ঘটনা হয়ে গিয়েছে। প্রায়শই ঘটছে। এর আগে গতকাল শুভেন্দু টুইটে লিখেছিলেন, ‘ইকবালপুর পুলিশ স্টেশন দখল হয়ে গিয়েছে। মমতার পুলিশ থানা ছেড়ে পালিয়েছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব কোনও কাজের না। অনুগ্রহ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে।’ সুকান্ত মজুমদার টুইট করে লিখেছিলেন, ‘মোমিনপুর-খিদিরপুরের পরিস্থিতি জানতে পেরে খুবই উদ্বিগ্ন। সেখানকার পরিবারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার কখন পদক্ষেপ করবেন এই নিয়ে।’
আরও পড়ুন: Mominpur Violence: সাম্প্রদায়িক হিংসায় তপ্ত মোমিনপুর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি শুভেন্দুর
এলাকাজুড়ে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করেছে একবালপুর থানা। রবিবারের হিংসায় বহু পুলিশকর্মীও আহত হয়েছে পাথরের আঘাতে। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সৌম্য রায়ও।