Ayushi Yadab Murder Case: মথুরা জেলার যমুনা এক্সপ্রেস এর সার্ভিস রোডে লাল রঙের একটি ট্রলিব্যাগ পাওয়া যায়। তাতে পাওয়া মৃতদেহ নতুন দিল্লির আয়ুষি যাদবের বলে পাওয়া গিয়েছে। রবিবার মৃতার মা এবং ভাই মৃতদেহের শনাক্তকরণ করেছেন। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী আয়ূষির হত্যা অনার কিলিং এর মামলা হতে পারে। আয়ুষির বাবাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আপনার ভাল সময়ের সংকেত পাঠাচ্ছেন শনিদেব, উপেক্ষা করছেন না তো!
এসপিসি এমপি সিং এর বক্তব্য যে এই যুবতী ১৭ নভেম্বর সকালে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর যমুনা এক্সপ্রেসের সার্ভিস রোডে একটি ট্রলি ব্যাগে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। যুবতীর মাথা হাত এবং পায়ে জখমের চিহ্ন ছিল। তাকে গুলি মারা হয়েছিল। মথুরা পুলিশ মৃতদেহ শণাক্তকরণের জন্য ৮ জনের একটি দলকে যুক্ত করে। পুলিশের টিম যুবতীর পরিচয় জানার জন্য গুরুগ্রাম, আগ্রা, আলিগড়, এবং দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছয়।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, লাওয়ারিশ সেই মৃতদেহের শণাক্তকরণ করে, যা আয়ুষি যাদবের বলে পাওয়া যায়। বাবার নাম নীতেশ যাদব। দিল্লির বদরপুরের মোরবন্ধ গ্রামের ৬৫ নম্বর গলির বাসিন্দা তাঁরা। পুলিশ মর্গে মা এবং ভাইকে মৃতদেহ শণাক্ত করান। এখন পুলিশ যাচাই করছে যে আয়ুশির হত্যা কে এবং কেন করেছে?
জানিয়ে দেওয়া যাক ১৮ নভেম্বর সকাল ১১ টায় যমুনা এক্সপ্রেস এর সার্ভিস রোডে কৃষি অনুসন্ধান কেন্দ্রের কাছে ঝোপের মধ্যে লাল রঙের একটি ট্রলিব্যাগ এর রক্তে মাখামাখি যুবতীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাকে গুলি করে হত্যা করার পরে ট্রলি ব্যাগের ভরে মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
যুবতীর শণাক্তকরণের জন্য সার্ভিলেন্সের টিম প্রায় ২০ হাজার মোবাইল ফোন ট্রেস করেন। এই মোবাইলগুলির লোকেশন তন্নতন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। মা এবং ভাই জানিয়েছেন যে তাঁরা, সম্পূর্ণভাবে গোরখপুর জেলার বাসিন্দা। আপাতত আয়ুষের পরিবার দিল্লিতে বদরপুর এলাকায় থাকছে যুবতীর শণাক্তের জন্য পুলিশ দিল্লী এনসিআর আলিগড় এবং বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ মহিলাদের বিষয়ক খবর করে।