কর্ণাটকের এক ব্যক্তি শনিবার হাসান জেলার একটি স্থানীয় আদালত প্রাঙ্গণেই তার স্ত্রীর গলা কেটে ফেলেন। তার স্ত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। স্ত্রীকে হত্যা করার পর ওই ব্যক্তি তার শিশুরও উপরও চড়াও হয়। তাকেও লাঞ্ছনা করার চেষ্টা করে, কিন্তু আশপাশের লোকজন হস্তক্ষেপ করে শিশুটিকে বাঁচায়।
কোথাকার ঘটনা
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের হোলেনরসিপুর শহরের আদালতের প্রাঙ্গণে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম চৈত্র, থট্টেকরে গ্রামের বাসিন্দা এবং অভিযুক্তের নাম হলেন রাসিপুরা তালুকের শিবকুমার।
লোক আদালতে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা প্রত্যাহার করে নেন
জানা গিয়েছে দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। তারা সাত বছর ধরে বিবাহিত এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শনিবার একটি লোক আদালত দম্পতিকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন প্রত্যাহার করতে এবং তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছিল। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে কাউন্সেলিং, এরপর দুজনেই ডিভোর্সের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন এবং সন্তানের স্বার্থে একসঙ্গে থাকতে রাজি হন।
আচমকা মত বদলে যায় স্বামীর
তবে এর পরপরই চৈত্র আদালত চত্বরে ওয়াশরুমে গেলে শিবকুমার তার পিছু ধাওয়া করে। সেখানেই আচমকা ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে ফেলে। এরপর সে তার শিশুকন্যাকে হত্যারও চেষ্টা করে, কিন্তু আশেপাশের লোকজন তাকে বাধা দিয়ে পুলিশে সঁপে দেয়। স্ত্রী চৈত্রা গুরুতর আহত হন এবং হোলেনরসিপুরা থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসান জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।