বেহালার পর্ণশ্রীর সেন পল্লীতে একটি বহুতলের তিন তলায় মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। মহিলার স্বামী তপন মণ্ডল পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী। তিনি বাড়িতে ফিরে দেখেন ছেলে সমজিৎ মণ্ডলের বয়স ১৪ ও স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডলের বয়স ৩৫। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। বাড়ি এসে তিনি দেখেন খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় দু'ঘরে দুটি দেহ পড়ে আছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তমজিৎ মণ্ডল সেই সময় অনলাইনে ক্লাস করছিল। তার স্কুল ড্রেস পরা রক্তাক্ত দেহই বিছানায় পড়েছিল। পাশের ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল সুস্মিতা মণ্ডলের দেহ। বাড়িতে গৃহ শিক্ষক এসে দরজা ধাক্কিয়ে দরজা বন্ধ পায় এবং তারপর চলে যায়। প্রাথমিক অনুমান ক্লাস চলাকালীন ওই ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে আরও খবর, পরিবারের সঙ্গে এনাদের সুসম্পর্ক ছিল না। অন্ধকার ঘরে মৃতদেহ মেলে। এছাড়াও, যে ফোনে তমজিতের অনলাইন ক্লাস চলছিল সেই ফোনটিও পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত সুস্মিতা মণ্ডলের স্বামী তপন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। গৃহ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার বা ধস্তাধস্তির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। নিঃশব্দে খুন করা হয়েছে। শত্রুতার জেরে খুন কিনা তা জানা যায়নি। যদিও, পরিবারের তরফে দাবি তাদের কোনও শত্রু ছিল না।