Advertisement

দেড় ঘণ্টার Operation Mojo, জাদুঘরে CISF জওয়ানকে কীভাবে বাগে আনল পুলিশ?

অপারেশন মোজোর মাধ্যমেই অভিযুক্তকে বাগে আনে পুলিশ। অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপারেশনে নামেন কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল জোনের ডেপুটি কমিশনার এবং সিআইএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ডান্ট। জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পর মিউজিয়ামের ভিতরে চলে যান অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান।

ভারতীয় জাদুঘরভারতীয় জাদুঘর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Aug 2022,
  • अपडेटेड 7:05 PM IST
  • জাদুঘরে গুলি চালালেন জওয়ান
  • দীর্ঘ আলোচনার পর আত্মসমর্পণ
  • কীভাবে হল গোটা অপারেশন?

ভারতীয় জাদুঘরে শনিবার আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালান সিআইএসএফ জওয়ান এ কে মিশ্র। গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর সহকর্মীর রঞ্জিত কুমার সারঙ্গীর। আহত হন সুবীর ঘোষ নামে আরও একজন। অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে যৌথভাবে Operation Mojo চালায় সিআইএসএফ ও কলকাতা পুলিশ। 

এই অপারেশন মোজোর মাধ্যমেই অভিযুক্তকে বাগে আনে পুলিশ। অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপারেশনে নামেন কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল জোনের ডেপুটি কমিশনার এবং সিআইএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ডান্ট। জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পর মিউজিয়ামের ভিতরে চলে যান অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ান। অপারেশনের সময় অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর মোবাইলেও বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন এ কে মিশ্র। তাঁকে শান্ত হয়ে বাইরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর লাউড স্পিকারে ঘোষণা করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তখন ফের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

অভিযুক্তকে শান্ত করতে তাঁর সঙ্গে পরিবারের বিষয়ে কথা বলা হয়। তখন তিনি জানান, চাকরিতে বিগত বেশ কিছুদিব ধরে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। আধিকারিকরা তাঁকে বাইরে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন এবং তাঁকে গুলি করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি বাইরে আসতে অস্বীকার করেন। 

আরও পড়ুন

অভিযুক্তের কাছেই ছিল অস্ত্রাগারের চাবি
এ কে মিশ্রর কাছে ব্যারাকের অস্ত্রাগারের চাবি ছিল। আর সেটাই ছিল সিআইএসএফ ও কলকাতা পুলিশের সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়। বারেবারে কথা বলার পর আধিকারিকদের অস্ত্র ছাড়া ভিতরে আসতে বলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এবং সিআইএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ডান্ট নিরস্ত্র অবস্থায় ভিতরে যান। অভিযুক্তকে দুই আধিকারিক ভরসা দেন যে তাঁকে গুলি করা হবে না। এরপর আস্বস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তারপরেই আধিকারিকরা তাঁকে বাইরে নিয়ে আসেন এবং তাঁর থেকে অস্ত্রাগারের চাবিও উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement