Advertisement

Extortion: শহরজুড়ে দেদার তোলাবাজি? প্রমোটারদের জন্য হেল্পলাইন চালু করল লালবাজার

প্রোমাটার ও বিল্ডারদের জন্য হেল্পলাইন চালু করল কলকাতা পুলিশ। তোলাবাজির অভিযোগ জানানো যাবে ওই হেল্পলাইনে ফোন করে। মঙ্গলবার শহরের প্রোমোটার ও বিল্ডারদের নিয়ে একটি বৈঠক করে পুলিশ। লালবাজারের সেই বৈঠকে তাঁদের সমস্যাগুলি শোনেন পুলিশ আধিকারিকরা।

লালবাজার। কোলাজ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Apr 2024,
  • अपडेटेड 12:26 PM IST
  • প্রোমাটার ও বিল্ডারদের জন্য হেল্পলাইন চালু করল কলকাতা পুলিশ।
  • তোলাবাজির অভিযোগ জানানো যাবে ওই হেল্পলাইনে ফোন করে।

প্রোমাটার ও বিল্ডারদের জন্য হেল্পলাইন চালু করল কলকাতা পুলিশ। তোলাবাজির অভিযোগ জানানো যাবে ওই হেল্পলাইনে ফোন করে। মঙ্গলবার শহরের প্রোমোটার ও বিল্ডারদের নিয়ে একটি বৈঠক করে পুলিশ। লালবাজারের সেই বৈঠকে তাঁদের সমস্যাগুলি শোনেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের তরফে জানা গেছে, নতুন বিল্ডিং তৈরি করতে গেলেই তোলাবাজদের জুলুম শুরু হয় বলে যে অভিযোগ উঠছে, সেক্ষেত্রে পুলিশ কোনও রেয়াত করবে না।

ওইদিন থেকেই নতুন হেল্পলাইন নম্বরটি চালু হয়ে গেছে। নম্বরটি হল - ৯৪৩২৬১১০০০। প্রোমোটার এবং ডেভেলপাররা ফোন করে তোলাবিজির অভিযোগ জানাতে পারবেন তাতে। কলকাতায় তোলাবাজদের একটি র্যাকেট সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরেই তোলাবাজরা অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার এক প্রোমোটার জানিয়েছেন, সমস্যাটির কথা সকলেই জানতেন। কিন্তু এই প্রথম পুলিশ সমাধানের চেষ্টা করছে। 

এক প্রোমোটার জানিয়েছেন, সবাই জানে যে প্রোমোটারদের প্রায়ই সিন্ডিকেট (বিল্ডিং সামগ্রী সরবরাহের সঙ্গে যু্ক্ত) দ্বারা হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু সেইসব তোলাবাজরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ঝুঁকি নেয় না কেউ। গার্ডেন রিচে একটি পাঁচতলা অননুমোদিত নির্মাণাধীন ভবন ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধসের তদন্ত করার সময় পুলিশ কিছু সরকারি আধিকারিকের কাছে জানতে পারে, ওই বিল্ডিং তৈরির সময়ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক নেতাদের ঘনিষ্ঠ তোলাবাজদের "প্রটেকশন মানি" দিতে বা বেশি দামে খারাপ নির্মাণ সামগ্রী কিনতে বাধ্য করার ঘটনা কলকাতায় অস্বাভাবিক নয়। ঘন ঘন ডেভেলপারদের "সিন্ডিকেট" থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিতে বাধ্য করা হয়েছে, উপকরণের গুণমান নির্বিশেষে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু এই ধরনের অনেক ঘটনাই রিপোর্ট করা হয় না কারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে ভয় পায়। পুলিশ প্রোমোটার ও বিল্ডার্সদের আশ্বস্ত করছে যে, এবার থেকে তাদের অভিযোগগুলি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একটি সিন্ডিকেট নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতনি এবং তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সুগত বোসের বাসভবনে একটি সংস্কার কাজে বাধা দিয়েছিল। এবং পরিবারকে শুধুমাত্র তাদের কাছ থেকে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।

Advertisement

পুরনো ভবন ভাঙার চুক্তি নিয়েও সিন্ডিকেট রাজ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চালায়। সূত্রের খবর, ডেভেলপারদের প্রায়ই চাপ দেওয়া হয় সিন্ডিকেটের কাছে পুরোনো ভবন ভাঙার জন্য উচ্চমূল্যের চুক্তি করার জন্য। ২০২২ সালে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির কাছে লেক গার্ডেনে একটি বিল্ডিং ভাঙার চুক্তি নিয়ে শাসক দলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement