Advertisement

Lover Kills Woman: প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিল, ৬ মাস পর ধরা পড়ল প্রেমিক; কীভাবে?

কর্নাটকের গদগ জেলায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। যেখানে ছয় বছরের প্রেমিকাকে বিয়ের চাপ দেওয়ার অপরাধে খুন করে মৃতদেহ পুঁতে রাখল প্রেমিক। ছয় মাস ধরে নিখোঁজ থাকা সেই তরুণীর রহস্যময় অন্তর্ধান ঘিরে অবশেষে পর্দা উঠল, পুলিশের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে সামনে এল নির্মম সত্য।

প্রেমিকাকে খুন কর্নাটকে।-ফাইল ছবিপ্রেমিকাকে খুন কর্নাটকে।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 15 Jun 2025,
  • अपडेटेड 11:19 AM IST
  • কর্নাটকের গদগ জেলায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড।
  • যেখানে ছয় বছরের প্রেমিকাকে বিয়ের চাপ দেওয়ার অপরাধে খুন করে মৃতদেহ পুঁতে রাখল প্রেমিক।

কর্নাটকের গদগ জেলায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। যেখানে ছয় বছরের প্রেমিকাকে বিয়ের চাপ দেওয়ার অপরাধে খুন করে মৃতদেহ পুঁতে রাখল প্রেমিক। ছয় মাস ধরে নিখোঁজ থাকা সেই তরুণীর রহস্যময় অন্তর্ধান ঘিরে অবশেষে পর্দা উঠল, পুলিশের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে সামনে এল নির্মম সত্য।

নিহত তরুণীর নাম মধুশ্রী অঙ্গাদি। গাদগ তালুকের নারায়ণপুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। অভিযুক্ত সতীশ হিরেমঠও একই গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, মধুশ্রী ও সতীশের মধ্যে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই পরিস্থিতি মোড় নেয় ভয়ঙ্কর পথে।

২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে, মধুশ্রী তার আত্মীয়দের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরিবার তাকে শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছিল সম্পর্ক থেকে দূরে রাখার জন্য। কিন্তু ওই রাতেই সতীশ তাকে ডেকে নেয় গ্রামের পাশের একটি খামারবাড়িতে। তদন্তে প্রকাশ, সেখানেই বিয়ের প্রসঙ্গ ঘিরে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। মধুশ্রী জোর করলে, সতীশ রাগের বশে তাঁর গলায় ঘোমটা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে।

এরপর, আত্মগোপনের জন্য সতীশ পরিকল্পনা করে মৃতদেহ নদীর ধারে একটি জায়গায় পুঁতে দেয়। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হিসেবে, সে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে একটি পেট্রোল পাম্পে এবং মাঝেমধ্যে ফিরে এসে দেহাবশেষ স্থানান্তর করে।

তবে প্রযুক্তি থেকেই ফাঁস হয় সতীশের অপরাধ। মধুশ্রীর ফোন থেকে একটি টাওয়ারে পিং ধরা পড়ে, যা সতীশের বয়ানের সঙ্গে মেলে না। সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশদের মধ্যে। শেষমেশ কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সতীশ ভেঙে পড়ে এবং নিজের অপরাধ স্বীকার করে। পুলিশের তত্ত্বাবধানে খোঁড়া জায়গা থেকে বেশ কিছু কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। যদিও এখনও মধুশ্রীর খুলি পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক টিম তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দেহাবশেষ সঠিকভাবে শনাক্ত করার জন্য।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement