Advertisement

Malda Kaliachak: কালিয়াচকে TMC-র বহিষ্কৃত নেতার 'দাদাগিরি', তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে গাছে বেঁধে মার

মালদায় পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে মারধর। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাণভয়ে ঘরছাড়া ব্যবসায়ী পরিবার। তাঁরা দ্বারস্থ হন মালদা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবে হুঁশিয়ারি মালদা জেলা বণিক সভার। মালদার কালিয়াচক থানার ফতেখানি বাঙালি পাড়া এলাকার ঘটনা।

আক্রান্ত ব্যবসায়ী রহিম বিশ্বাসআক্রান্ত ব্যবসায়ী রহিম বিশ্বাস
অহনা চট্টোপাধ্যায়
  • কালিয়াচক,
  • 19 Jun 2025,
  • अपडेटेड 4:41 PM IST

মালদায় পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে মারধর। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাণভয়ে ঘরছাড়া ব্যবসায়ী পরিবার। তাঁরা দ্বারস্থ হন মালদা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবে হুঁশিয়ারি মালদা জেলা বণিক সভার। মালদার কালিয়াচক থানার ফতেখানি বাঙালি পাড়া এলাকার ঘটনা।

জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম রহিম বিশ্বাস। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ গত ২০২২ সালে কালিয়াচকের ত্রাস জহুরুল খান তাঁকে অপহরণ করে। পুলিশি তৎপরতায় মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। কয়েক মাস হল জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরই এলাকায় ফিরতে আবার সন্ত্রাস শুরু করেছে জহুরুল খান। আক্রান্ত ব্যবসায়ী আরও জানান, থানায় অপহরণের অভিযোগ প্রত্যাহার এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় তাঁর কাছে। গত শনিবার বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওমতে প্রাণ রক্ষা করে বাড়ি ফেরে ওই ব্যবসায়ী। এরপর থেকে আতঙ্কে ঘর ছাড়া ওই ব্যবসায়ী পরিবার। তার পরিবারকে নিয়ে মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন।

এই বিষয়ে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানান, 'পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করব যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আর পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আকারে জানাব।'

জানা গেছে, জহুরুল খান একসময় TMC-র দাপুটে নেতা ছিল। জেলার একাধিক বিধায়ক এবং নেতৃত্বের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। তবে যদিও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ায় TMC দল তাকে বহিষ্কার করেছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। 
       
দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকে তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে না। স্বাভাবিকভাবেই তারা জেলাজুড়ে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। 

Advertisement

জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, সমাজবিরোধীদের আমরা প্রশ্রয় দিই না। অভিযোগ হয়েছে নিশ্চই ব্যবস্থা হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement