ফের বিস্ফোরণে মৃত্যু। এবার মৃত্যু হল ৯ বছরের এক বালিকার। ঘটনাস্থল মিনাখাঁর চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বকচোরার রাইন পাড়া গ্রাম। ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক।
জানা গিয়েছে, বাসন্তী থেকে মিনাখাঁয় মামারবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ওই ৯ বছরের বালিকা। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ির দোতলায় খেলা করছিল সে। তখনই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান এলাকাবাসী। গিয়ে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছে ওই বালিকা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোণষা করেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই বাড়ির মালিক আবুল হোসেন। পলাতক বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় যত অশান্তি হয় তার জন্য সমস্ত বোমাই যেতে এই বা়ডি থেকে। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা মনে করছেন, এই ঘটনায় আরও ২ জন শিশু আহত হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আহতদের খোঁজে আশেপাশের সমস্ত এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মিনাখাঁর এসডিপিও-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাড়িতে লোকানো বোমা থেকেই ঘটেছে এই বিস্ফোরণ। সেক্ষেত্রে আশেপাশে আর কোনও বোমা লোকানো আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও বোমাবাজিতে এক তৃণমূলকর্মীর হাত উড়ে গিয়েছে। চরকা গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে এলাকা দখলকে ঘিরে সংঘর্ষের জেরে বোমাবাজিতে হাত উড়ে যায় ওই তৃণমূলকর্মীর। রফিকুল আলম নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও সিপিএম ও বিজেপির উস্কানিতেই এই অশান্তি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
আরও পড়ুন - এক-দু'সপ্তাহ ধরে লাগাতার কাশি? এখনই সতর্ক না হলে পড়তে পারেন কঠিন রোগে