বিহারের বাঁকায় আট বছরের কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার। গণধর্ষণের পর তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, হোলির দিন দুপুরে ওই কিশোরী বাড়ির বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে হোলি খেলছিল। দুর্গা মন্দিরের কাছ থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়।
তখন থেকেই তার খোঁজ শুরু হয়। খবর যায় পুলিশের কাছেও। কিন্তু পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। তখন পরিবারের সদস্যরা এক শিশুর কাছ থেকে জানতে পারেন, ওই নাবালিকাকে দুর্গা মন্দিরের কাছে লাল রঙের অটোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই তথ্যের পর অটোচালকের খোঁজ শুরু করে পরিবার।
ওই অটোচালকের বাড়িতেও যায় তারা। কিন্তু, অটোচালক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। যদিও এরপরই সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
সেদিন রাত ১১টার দিকে রেলস্টেশনের পাশের একটি নর্দমা থেকে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ এসে সেই দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর শরীরে কোনও কাপড় ছিল না। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চোখ উপড়ানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, কিশোরীকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়। তার উপর শারীরিক অত্যাচারও চালানো হয়।
এদিকে ওই অটোচালক পালিয়ে যাওয়ার পর তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ডিএসপি প্রেমচাঁদ সিং জানান, অটোচালক ডোমান পাসওয়ান, অজয় বর্ণওয়াল, শ্রীধর বর্ণওয়াল-সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অটোর মালিক সাগর সোনিকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।