৭ বছর পর মুর্শিদাবাদের যুবক নিখোঁজের রহস্য ভেদ করল পুলিশ। ওই যুবককে খুন করে দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে মুর্শিদাবাদারে ডোমকলের (Murshidabad Domkal) গঙ্গাদাসপাড়ার বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুসপিয়ার মল্লিক ওরফে লালন নিখোঁজ হয়ে যান। ডোমকল থানায় লালনের মা ফিরোজা বিবি মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তদন্ত চালালেও কোনও কিনারা করে উঠতে পারছিল ন।
ইতিমধ্যে আচমকাই হাসিনা বিবি নামে এক মহিলার কথা জানতে পারে পুলিশ। খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে ওই হাসিনা সম্পর্কে লালনের মামাতো বউদি। ওই মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন লালন। পুলিশ আরও জানতে পারে, শুধু লালন নয়, আরও পুরিষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হাসিনার। তাদেরই একজন সানাউল্লাহ সেখ। এরপরেই হাসিনা ও সানাউল্লাহর বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করন তদন্তকারীরা। হাসিনা ও নিখোঁজ লালনের আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ হাতে আসতেই হাসিনা ও সানাউল্লাহকে আটক করে পুলিশি। লাগাতার জেরা মুখে অবশেষে ভেঙে পড়ে তারা। পুলিশের দাবি, জেরায় লালনকে খুনের কথা স্বীকার করেছে হাসিনা ও সানাউল্লাহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিকবার ছুতো করে লালনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে হাসিনা। এরই মাঝে সানাউল্লাহর সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ায় সে। তারপরেই লালনের সঙ্গে শুরু হয় টানাপোড়েন। অশেষে পথের কাঁটা সরাতে লালনকে খুনের ছক কষে তারা। প্রথমে লালনকে খুন করে তাঁর দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখা হয়। পরে একটি লেবু বাগানে মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলা হয় লালনের দেহ। এই কথা জানার পর মঙ্গলবার থেকে সেই লেবু বাগানেও কঙ্কাল খোঁজার জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চালায় পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন নিহত লালনের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন - অপেক্ষার অবসান, রাত পোহালেই ৩ রাশিতে অর্থ বর্ষণের সম্ভাবনা শুক্রের