পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করে তাদের মাধ্যমে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের টার্গেট করছে। এই উদ্দেশ্যে তারা একটি মহিলা ব্রিগেড তৈরি করেছে। যার মধ্যে ৫০ এর বেশি তরুণী রয়েছে। এটা নিয়ে ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এর তরফে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আর্মি এবং বিএসএফ কর্মীদের ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি জানিয়েছে যে যে কোনও অজ্ঞাত কাউকে বিশেষ করে মহিলাদের ফ্রেন্ড অ্যাকসেপ্ট করবেন না।
টার্গেট মূলত রাজস্থান এবং গুজরাটের বর্ডারের ভারতীয় সেনা জওয়ানরা
ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে জড়িত এক সিনিয়র আধিকারিক আজতাককে জানিয়েছেন যে, এই তরুণীদের ট্রেনিং পাকিস্তানি সেনার ইন্টালিজেন্সি ইউনিট ৪১২, সিন্ধের হায়দ্রাবাদে হচ্ছে। এই মডিউলের টার্গেট মূলত রাজস্থান এবং গুজরাটের বর্ডারগুলিতে মোতায়েন ভারতীয় সেনা জওয়ানদের অনুসারে এই সমস্ত মহিলারা পাকিস্তানের সেনার ব্রিগেডিয়ার এবং ক্যাপ্টেন পদাধিকারী অফিসারের অধীনে কাজ করছেন।
মহিলাদের ভারতীয় নাম দেওয়া হয়
সূত্র অনুসারে মহিলা ব্রিগেডকে হায়ার করার পরে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভ ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনিং এর পরে সমস্ত মহিলাদের বিভিন্ন হোটেলে রুম বুক করিয়ে মেকআপ কিট দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে এদের রিয়া, খুশি, কল্পনা, নিতা, গীতু, অবনী, মুসকান বা হরলিন এর মত ভারতীয় নাম দিয়ে পরিচয় দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে কীজ করছে এই তরুণীরা?
১. ভারতীয় পাকিস্তান আর্মির এজেন্ট এই সমস্ত তরুণীরা সবার আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়া আইডি বানিয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে বিভিন্ন সেনা জওয়ানদের।
২. রিকুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট হওয়ার পরে তাদের সঙ্গে মিষ্টি এবং প্রেম পূর্ণ কথাবার্তা শুরু হচ্ছে।
৩.বন্ধুত্ব হওয়ার পরে টার্গেটকে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠানো হচ্ছে।
৪. টার্গেট জওয়ানকে বশে আনতে এই সমস্ত তরুণীরা যে কোও স্তর পর্যন্ত যেতে রাজি আছে।
৫. অনেক সময়ই টার্গেট এদের কথা অনুযায়ী দেশের সুরক্ষা সঙ্গে জড়িত সেক্রেট শেয়ার করতে রাজি হয়ে যায়।
৬. ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির দাবি অনুযায়ী সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল যে, সমস্ত নিজস্ব চ্যাট সম্পর্কে জওয়ানরা মনে করেন এটা তাঁদের দুজনের নিজস্ব পারস্পরিক বার্তা। কিন্তু তাদের সমস্ত চ্যাট আইএসআই রেকর্ড করে নেয়।
৭. এরপর ওই সমস্ত জওয়ানদের ব্ল্যাকমেল করা হয়। অর্থাৎ যা চাওয়া হয়, তা যদি দিতে অস্বীকার করে, তাহলে এই চ্যাট এবং ভিডিও পাবলিক করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া শুরু হয়ে যায়।