মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন সোদপুর কাণ্ডের নির্যাতিতা তরুণীর মায়ের। ইতিমধ্যে গ্রেফতার আরিয়ান খান এবং তার বোন জোয়া খান। আজই হাওড়া পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এখনও পলাতক 'ফুলটুসি' ওরফে শ্বেতা খান।
নির্যাতিতা মহিলার মা মুখ্যমন্ত্রকে চিঠি লিখে মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চান। চিঠিতে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেন। কীভাবে অভিযুক্তরা তাঁর মেয়েকে নির্যাতন এবং নির্মমভাবে মারধর করেছে সেসমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। নির্যাতিতার মা অনুরোধ করেছেন যে রাজ্যের আর কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এই ঘটনা না ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে গ্রেফতারও করা হয়েছে আরিয়ানকে। জোয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে।
হাওড়া শহর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের ডিসিপি সুরিন্দর সিং বলেন, "গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন করা হবে। তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর সমস্ত অভিযোগ পরীক্ষা করা হবে। শ্বেতা খান, আরিয়ান খান এবং জোয়া খানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, শালীনতা লঙ্ঘন এবং মহিলাকে আঘাত করার অভিযোগ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ অনুসারে, তারা মহিলাকে বার ডান্সার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। জোয়া খান শ্বেতা খানের মেয়ে, সে নাবালিকা। অভিযোগ, তিনি ভুক্তভোগী মহিলার উপর নির্যাতনে তার পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করেছিলেন। তাকে আটক করা হয়েছে। তারা ৭ জুন থেকে পলাতক ছিল। শ্বেতা খান এখনও পলাতক, তাকে ধরার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, পানিহাটির এক যুবতীকে হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বেতা খান ও তার পুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা ও তার পুত্র। জানা গিয়েছে, নির্যাতিকাকে কুলু, মানালিতেও নিয়ে গিয়েছিল শ্বেতা। তার ২ বছরের এক সন্তান রয়েছে। পর্নোগ্রাফি শ্যুট করতে রাজি না হওয়ায় পানিহাটির যুবতীর উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবতীকে দিয়েই সন্তানের দেখভাল করাত শ্বেতা। সেই কারণেই তাঁকে কুলুতে নিয়ে যাওয়া বলে দাবি। পানিহাটির যুবতীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বেতার বিরুদ্ধে। কোনওক্রমে শ্বেতাদের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসেন পানিহাটির ওই যুবতী।