Advertisement

Pregnancy Syndicate: গর্ভবতী করলেই লাখ টাকা, দারুণ 'চাকরি'

কাজ শুধু নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করা, মাইনে লাখ লাখ টাকা। সংস্থার নাম 'শিশু জনম সেবা'। বিহারের নওয়াদায় এই ঘটানা সামনে আসতেই তাজ্জব পুলিশও। আসলে গোটা বিষয়টিই সাইবার অপরাধীদের ফাঁদ।

প্রতীকী ছবি।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 31 Dec 2023,
  • अपडेटेड 10:50 AM IST
  • কাজ শুধু নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করা, মাইনে লাখ লাখ টাকা।
  • সংস্থার নাম 'শিশু জনম সেবা'।

কাজ শুধু নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করা, মাইনে লাখ লাখ টাকা। সংস্থার নাম 'শিশু জনম সেবা'। বিহারের নওয়াদায় এই ঘটানা সামনে আসতেই তাজ্জব পুলিশও। আসলে গোটা বিষয়টিই সাইবার অপরাধীদের ফাঁদ। ধৃত অবরাধীরা মানুষকে প্রস্তাব দিত যে, তাদের মহিলাদের গর্ভবতী করতে হবে এবং এর বিনিময়ে তাদের লাখ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। অভিযুক্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

তথ্য অনুযায়ী, সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নওয়াদা পুলিশ। জেলার মুফাসসিল থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৮ সাইবার অপরাধীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ও ১টি প্রিন্টার পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, গ্রেফতার অভিযুক্তরা সর্বভারতীয় গর্ভবতী চাকরির (শিশু জন্ম পরিষেবা) নামে অর্থের প্রলোভন করত এবং মানুষকে প্রতারণার শিকার করত। প্রকৃতপক্ষে, পুলিশ এই বিষয়ে গোপন তথ্য পেয়েছিল। এর পর পুলিশ অভিযান চালায়।

অল ইন্ডিয়া প্রেগন্যান্ট জব (শিশু জনম সেবা) নামের এই গোষ্ঠী মানুষকে ফাঁসানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছিল। এ কথা বলে দুস্কৃতীরা ফাঁদে ফেলে এবং রেজিস্ট্রেশনের নামে চাঁদাবাজি করে। তারা মূলত পুরুষদেরকে প্রতারণা করত। প্রতারকরা পুরুষদের বলত, সন্তান প্রসবের সেবায় নিঃসন্তান নারীদের গর্ভবতী করতে হবে, এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন। তাদের এ ধরনের কাজে প্রলুব্ধ করে প্রথমে পুরুষদের কাছ থেকে ৭৯৯ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তার কাছে সিকিউরিটি মানি দাবি করা হয়। এই পরিমাণ ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে দাবি করা হয়েছিল।

 মুন্না কুমার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় নওয়াদা পুলিশের এসআইটি। পুলিশ বলছে, পুরো সিন্ডিকেটের নেতা মুন্না। পুলিশ এই র‌্যাকেটের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে, এবং কয়েক ডজন অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। 
এ বিষয়ে ডিএসপি কল্যাণ আনন্দ বলেন, এই সাইবার সিন্ডিকেট সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। গ্রেফতার হওয়া অপরাধীদের কাছ থেকে ৯টি স্মার্টফোন ও একটি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্য আসামিদের খোঁজ চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

 

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement