Rajasthan Crime: জলের কলসি ছোঁয়ায় ৯ বছরের ছাত্রকে বেধড়ক মার শিক্ষকের। তারপরই মৃত্যু হয় ছাত্রের। রাজস্থানের জালোরের একটি বেসরকারি স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সংবাদ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ৯ বছর বয়সী ওই ছাত্র ইন্দর কুমার দলিত বলে জানা যায়। স্কুলে জলের কলসি ছুঁয়ে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শিক্ষক ছেইল সিং শিশুটির প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে যায়। বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। যে কারণে শিশুটির কানের শিরা ফেটে যায়। ২৫ দিন চিকিৎসার পর গুজরাতের আহমেদাবাদে শিশুটির মৃত্যু হয়। রাজস্থানে এই নিষ্ঠুরতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফের অস্পৃশ্যতা, বর্ণবৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে তফশিলি জাতি ও উপজাতির ১০০টিরও বেশি ছাত্র রয়েছে।
২৫ দিন চিকিৎসা চলেছিল শিশুটির
মৃত পরিজনেরা জানিয়েছেন, একটানা ২৫ দিন চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। প্রথমে বগোদার সিভিল হাসপাতালে, তারপর ভিনমাল, দীসা, মেহসানা, উদয়পুর এবং পরে আহমেদাবাদে ভর্তি করা হয়। ৬টি হাসপাতালে চিকিৎসকর পরও শিশুটির জীবন বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করার পরও তা বৃথা গেল।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ট্যুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। শিশুটির পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। রবিবার শিশুটির মরদেহ সায়লা মহকুমা সদরে এসে পৌঁছবে। সেখানে ভীম আর্মির প্রধান সহ SC-ST-এর বিভিন্ন সংগঠন বিরোধিতায় সরব হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, জালোর জেলার সায়লা শহর থেকে সুরানা গ্রামের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। সেখানে ছেইলি সিং ১৬ বছর ধরে গ্রামে সরস্বতী বিদ্যা মন্দির উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
শিশুটির বাবা দেবরাম অভিযোগ জানিয়েছেন, শিক্ষক তাঁর ছেলেকে জলের পাত্র থেকে জল পান করার জন্য ইন্দ্র কুমারকে চড় মারেন, যে কারণে কানের শিরা ফেটে যায়। এরপর চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায়। স্কুলের সামনে ইন্দ্র কুমারের বাবা দেবরাম মেঘওয়ালের লোহার শ্রমিকদের দোকান।
শিক্ষক ছেইলি সিং মূলত চিতলওয়ানা মহকুমা এলাকার ঝাব শহরের বাসিন্দা। তার এর বাবা-মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই ঘটনার পর পুলিশ এসসি-এসটি আইন ও খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত হেড মাস্টার ছেইলি সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে।