উত্তরপ্রদেশের শ্যামলীতে মনুষ্যত্বের সর্বনাশ ঘটিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার কথা শুনলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। জেলার খেরা করতান গ্রামে এক ব্যক্তি তার পাঁচ বছরের ভাইঝিকে এ কারণে শুধু নির্মমভাবে হত্যা করেছে, কারণ সে খাওয়ার সময় আম চেয়ে বিরক্ত করছিল। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুরো বিষয়টি জেনে হতবাক।
১৯ জুলাই কোতোয়ালির কান্ধালা এলাকায় এরা করতান গ্রামে বাসিন্দা খুরশিদ এর মেয়ে খেরুনিশা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। শেষবার ওই বাচ্চাটিকে কাছেই থাকা কাকা উমরদিনের কাছে দেখা গিয়েছিল। সন্দেহের আধারে শিশুটির পরিবার ওমর দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ যখন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, তখন জিজ্ঞাসাবাদের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। পুলিশ মিডিয়াকে জানিয়েছে যে খুরশিদ এবং উমরদিনের বাড়ি কাছাকাছি। সেটা দুইজনের পরিবারের মধ্যেও আসা যাওয়া ছিল।
গত মঙ্গলবার খুরশিদ এর মেয়ে উমরদিনের বাড়িতে যায়। তখন উমরদিন খাওয়া দাওয়া করছিল এবং আম খাচ্ছিল। এই দেখে পাঁচ বছরের শিশু আম চাইতে শুরু করে। কিন্তু উমরদিন আম দিতে অস্বীকার করে।এরপরেও পাঁচ বছরের অবুঝ মন বারবার আম খাওয়ার জন্য জেদ করতে থাকে। এতেই উমরদিন খেপে যায়। অভিযুক্ত শিশুটি বারবার জেদ করার করায় খেপে গিয়ে তার মাথায় রড দিয়ে বাড়ি মারে। এরপরে ধারালো হাতিয়ার দিয়ে তার গলা কেটে দেয়। এতে বাচ্চাটির প্রচুর রক্ত বেরিয়ে যায়। শিশুটি মারা যাওয়ার পরে অভিযুক্ত শিশুটির শবদেহ একটি বস্তায় ঢুকিয়ে রেখে দেয়। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে যখন শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায় এবং খোঁজখবর করা হচ্ছিল, তখন অভিযুক্ত উমরদিনও গ্রামবাসীর সঙ্গে শিশুটির খোঁজ করতেও গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সন্দেহ করতেই সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।শ্যামলীর এসপি জানিয়েছেন পুলিশ অভিযুক্ত উমরদিনকে গ্রামের কাছে জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহার করা হাতিয়ার, একটা চাকু এবং একটা লোহার রড উদ্ধার করেছে।