Advertisement

Nadia: স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদেই খুন? শান্তিপুরে বধূর মৃত্যু ঘিরে রহস্য

এক গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহের সৎকার আটকে রেখে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁদের মেয়েকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। দু'দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় গৃহবধূর।

প্রীতম ব্যানার্জী
  • নদিয়া,
  • 09 Dec 2024,
  • अपडेटेड 3:14 PM IST

এক গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহের সৎকার আটকে রেখে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁদের মেয়েকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। দু'দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় গৃহবধূর।

ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামগোপাল ট্রিট ইটভাটাপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম সন্ধ্যা বিশ্বাস। মৃতার  স্বামী প্রদীপ বিশ্বাস। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান এবং দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। গত শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ ওই গৃহবধূ অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। রবিবার মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।

মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গৃহবধূর পরিবার। গৃহবধূর ভাই হারাধন বিশ্বাসের অভিযোগ, তার দিদির স্বামী প্রদীপ বিশ্বাস প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে। মাঝেমধ্যেই রান্নার কাজে গিয়ে দু'জনে দেখা করতেন। সন্ধ্যা সেই সম্পর্কের প্রতিবাদ করলে, তাঁকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। তিনি বলেন, ওই মহিলা ও দিদির স্বামী দিদিকে মারতে মারতে নিয়ে আসে। মারার পর ব্রেন স্ট্রোক হয় দিদির। অনেকেই মারধর করতে দেখেছে। অবস্থা দেখে আমার মাথা খারাপ। তারপর JNM হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার দেখে বললেন ব্রেন স্ট্রোক করেছে। দু'জন মিলে চক্রান্ত করে আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে। 

মৃতার এক সন্তান বলে, ঘটনার দিন মা শুয়ে ছিল। বাবাও শুয়ে ছিল। একটু পরে মা বলে শরীর খারাপ লাগছে। এর পর বাবা দৌড়ে এসে জিজ্ঞাসা করে কী হয়েছে? এরপর বাবা ভ্যানে করে মা-কে নিয়ে যায়। হাসাপাতালে ভর্তি করে। পরে কল্যণীতে ট্রান্সফার করে দেয়। বাবা আগে মা-কে মারত। সংসার দাদু চালায়, বাবা রান্নার কাজ করে। 

Advertisement

গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement