Advertisement

Sodepur Girl Assault: 'নীল ছবিতে নামাতে চেয়েছিল', বিস্ফোরক সোদপুরের অত্যাচারিতার মা

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরির টোপ দিয়ে তরুণীকে অত্যাচার হাওড়ায়। ডোমজুড়ের এক যুবক ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের টোপ দিয়ে পরে বারে কাজ করার জন্য তরুণীর উপর চাপ। তরুণী রাজি না হলে তাঁকে আটকে রেখে নির্যাতন। বাড়ির সব কাজ করানোর পাশাপাশি চলত মারপিট। প্রতিবাদ করলে চুল কেটে দেওয়া হয়।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • ডোমজুড়,
  • 08 Jun 2025,
  • अपडेटेड 1:59 PM IST

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরির টোপ দিয়ে তরুণীকে অত্যাচার হাওড়ায়। ডোমজুড়ের এক যুবক ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের টোপ দিয়ে পরে বারে কাজ করার জন্য তরুণীর উপর চাপ। তরুণী রাজি না হলে তাঁকে আটকে রেখে নির্যাতন। বাড়ির সব কাজ করানোর পাশাপাশি চলত মারপিট। প্রতিবাদ করলে চুল কেটে দেওয়া হয়।

মারের চোটে ভাঙে তরুণীর কোমর ও পায়ের হাড়। বৃহস্পতিবার ডোমজুড় থেকে পালিয়ে আসেন তরুণী। সোদপুরে নিজের বাড়িতে ফিরে পুলিশের দ্বারস্থ তিনি। তদন্তে খড়দা ও ডোমজুড় থানার পুলিশ। তরুণীর মায়ের অভিযোগ, "মেয়েকে যৌন ব্যবসায় নামাতে চেয়েছিল। ব্লু ফিল্মের জন্য ভিডিও রেকর্ড করতে জোর করছিল। রাজি না হোয়ায় অত্যাচার করে। ছেলেটির মা বেশি অত্যাচার করত।"

সোদপুর সুখচরের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী তরুণীর সঙ্গে হাওড়ার ডোমজুড়ের আরিয়ান খানের পরিচয় হয় ২০২৪ সালে। ডিসেম্বরে তরুণীকে ইভেন্টে কাজের প্রস্তাব দিয়ে এই যুবক হাওড়ায় ডেকে পাঠায়। এরপর তরুণী কাজের জন্য ওখানে গেলে আরিয়ান খান ও তাঁর মা শ্বেতা খান এই তরুণীকে তাদের বাড়িতে আটকে রেখে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। 

অভিযোগ, তরুণীকে জানানো হয় ইভেন্টের কোনও কাজ নেই। পানশালায় ডান্স করতে হবে তাঁকে। তার জন্য তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তরুণী রাজি না হওয়ায় তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে তাদের বাড়িতে আটকে রেখে জোর করে বাড়ির কাজ করানোর চেষ্টা হয়। অভিযোগ, কাজ করতে না চাওয়ায় জুটত নির্মম অত্যাচার। শরীরের একাধিক জায়গায় নির্মমভাবে মারধর করা হত। 

মাথার চুল কেটে দেওয়া সহ আরও পাশবিক অত্যাচারের সময় চিৎকার করলে জুটত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। অভিযোগ, খারাপ এলাকায় বিক্রি,কিডনি বিক্রি করে দেবার মতো হুমকি দেওয়া হত ওই তরুণীকে। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই তরুণী তাঁর খড়দহের বাড়িতে পালিয়ে আসেন। এরপর তাঁকে খড়দা বলরাম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ওই তরুণীকে। নির্যাতিতা তরুণী আরিয়ান খান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

শনিবার বিকেলে খড়দা থানা ও ডোমজুড় থানার পুলিশ এবং ব়্যাফ বাঁকড়া বাজার এলাকায় অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু বাড়িতে তালা বন্ধ ছিল। কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আশপাশের কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বাড়িতেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযুক্ত মা ও ছেলে পলাতক।

Read more!
Advertisement
Advertisement