Sutapa Murder Case : বহরমপুরের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে হত্যা মামলায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী সম্প্রতি ওই ছাত্রীবাসের আশেপাশে একাধিবার চক্কর কেটেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতের পরিবারের দাবি সম্প্রতি সুশান্তর ব্যবহারে একাধিক পরিবর্তন এসেছিল। অন্যদিকে, কাউকে যে সে খুন করতে পারে সেই ইঙ্গিত আগেই ফেসবুকে দিয়েছিল সুশান্ত। ফেসবুক প্রোফাইলের ইন্ট্রোতে সুশান্ত লিখেছে,"i am a Indian, এই Bewafa তোর উপর একদিন অনেক ভারি পরবে এমন কী তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে madam ji" স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে কোনও মহিলাকে হত্যার হুমকি সরাসরি ফেসবুকে দিয়ে রেখেছিল সুশান্ত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মৃত ছাত্রী সুতপা চৌধুরী যেই হোস্টেলে থাকতেন, সেই হোস্টেলের বাইরেই তাঁকে হত্যা করে সুশান্ত। সেই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে হত্যা করা হয় সুতপাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্তর সঙ্গে সুতপার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সুতপা সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে প্রবল ক্ষুব্দ ছিল সুশান্ত। যদিও এক বাংলা সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশি জেরায় সুশান্ত জানিয়েছে সুতপার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সুতপা অন্য একজনের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা করে। যদিও নিজের বিয়ের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি অভিযুক্ত সুশান্ত।
প্রেমে সমস্যা তৈরি হয়েছিল
জানা গিয়েছে, সুশান্তর সঙ্গে সুতপার প্রেমে নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আগে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তাতে সমাধান মেটেনি। অন্যদিকে ধৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুশান্তকে একাধিবার ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে এসে মারধর করিয়েছিল সুতপা। যদিও মৃতার পরিবার সেই দাবি মানতে চাননি।
শুভেন্দুর তোপ
এদিন বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেন বিরোধীর দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "বহরমপুর গার্লস কলেজের পদার্থবিদ্যার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে পরপর ছুরির কোপ হামলাকারীর। এমন কি মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরেও হামলা চলতে থাকে। নৃশংস ভাবে ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন করা হল সকলের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অস্ত্র দেখিয়ে হামলাকারীর হুমকি, ভয়ে পিছিয়ে গেলেন তারা। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার অবনতির এ এক চরমতম নিদর্শণ। আততায়ীদের মনে প্রশাসনের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, যে এমন গর্হিত অপরাধ করার সময় বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই রাজ্যে অস্ত্র জোগাড় করা ভুসিমাল দোকান থেকে মাল নেওয়ার মতোই সহজ। মহিলারা কি কখনো নিজেদের সুরক্ষিত মনে করতে পারবেন? জানতে চাই মাননীয়া কখন "ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম" পাঠাচ্ছেন বহরমপুরে? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার শাসনকালে অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন এবং যোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিন।"