ফিল্মি দুনিয়ার যতটা রঙিন দেখায় তার চেয়ে অনেক বেশিই তার পিছনে অন্ধকারও লুকিয়ে থাকে। একদিকে কিছু লোক তারা হয়ে আকাশে চমকাতে থাকেন। তো আরেকদিকে সেই স্টার হওয়ার জন্য দৌড়াতে গিয়ে অনেকে মুখ থুবড়েও পড়েন। অন্ধকারের যাঁতাকলে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যেখানে স্বপ্ন আছে, সেখানে নিশ্চিতভাবে সেই সমস্ত স্বপ্নের ব্যাপারিও ঘুরে বেড়ায়, যারা সুযোগের অপব্যববাহর করতে মুখিয়ে থাকে। তাদের কারণে সমস্ত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বদনাম হতে হয়। এমনই কিছু একটা ঘটনা মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বিরার এলাকাতে সামনে এসেছে। এখানে ১৮ বছর বয়সী এক মডেলের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত সেই ভিডিওটি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পর ওই নির্যাতিতা অরনালা সাগরি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তার অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন।
এই ঘটনায় তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার প্রায় দু'মাস পর পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সফল হন। এর মধ্যে এক মহিলাও সামিল রয়েছেন। পুলিশের দাবি অনুযায়ী ওই মডেল বসাইতে ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকেন। তিনি মডেলিং করার সঙ্গে সঙ্গে বলিউড ফিল্মে কাজ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১ নভেম্বর এক ব্যক্তি তাঁকে কল করেন এবং তিনি বলেন যে, তিনি প্রোডাকশন হাউজ থেকে বলছেন। তাদের একটা নতুন ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজন। যদি তিনি তাতে কাজ করতে চান, তাহলে অডিশনের জন্য আসতে পারেন। ওর বিরারের বর্ণালা বিচ এ তাকে ডেকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করায়।
এরপরে তারা ওই মডেলকে একটা হোটেল নিয়ে যায়। সেখানে অডিশনের নামে তাকে নুড হওয়ার জন্য বলা হয়। সিনের ডিমান্ড মনে করে তিনি ভিডিও শুট করিয়ে নেন। কিন্তু কিছুদিন পর তার ভিডিও একটি অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটে আপলোড দেখতে পান। এটা দেখে ওই মডেল হতভম্ব হয়ে যান ১২ ডিসেম্বর তিনি পুলিশে মামলা দায়ের করেন। যার পর এই ঘটনার তদন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ইউনিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশও আলাদা ইনপুটের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। বিরার ক্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র ইন্সপেক্টর বোদক জানিয়েছেন যে অডিশনের বাহানাতে তিন অভিযুক্ত ওই নির্যাতিতার নুড ভিডিও শুট করেছিল এবং তা পয়সার জন্য ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেয। এই মামলায় বিরারলের অনুজ কুমারের সঙ্গে ৩৩ বছর বয়সি এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক জিনিসও উদ্ধার করেছে।