মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের খুনে চার অভিযুক্তকে(প্রতিবেদন লেখার সময়) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথমেই যে দুইজনকে ধরা হয়, তাদের মধ্যে একজন মালদার ইংলিশ বাজারের বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষ। আরেকজন সামি আক্তার, বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু'জনেরই বয়স ২০-২২-এর আশেপাশে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা গত প্রায় ১০-১৫ দিন ধরেই দুলাল সরকারের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। আর সেটা থেকেই তারা বুঝে গিয়েছিল যে, সকালে দুলাল সরকার একা থাকেন। সেই সময় তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা, ফ্যাক্টরীর কর্মীরা সঙ্গে থাকেন না। আর সেই কারণে সকালেই হামলার পরিকল্পনা করে তারা। কিন্তু এতদিন ধরে দুষ্কৃতীরা খুনের পরিকল্পনা নিয়ে নজরদারি চালাল, অথচ কেউ সেটা বুঝতে পারল না কেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতির তরজাও। বিরোধীদের একাংশ এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
উল্লেখ্য়, আজ শুক্রবার দুলাল সরকারের শেষকৃত্য হবে। ইতিমধ্যেই দেহ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মহানন্দা পল্লী এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
দুলালচন্দ্র সরকার ওরফে বাবলা তৃণমূলের মালদা জেলা সহ-সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুলাল সরকার।
সেই সময় হঠাৎ বাইক চড়ে এসে দুই দুষ্কৃতী তাঁকে তাড়া করে গুলি করে। দোকানে আশ্রয় নিতে গেলে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে খুনের দৃশ্য ধরা পড়ে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'এই ঘটনার কথা জেনে আমি দুঃখিত এবং হতবাক। অপরাধীদের দ্রুততার সঙ্গে ধরা উচিত।'
বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয় এই ঘটনায় সরাসরি 'পদত্যাগে'র দাবি তুলেছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রশাসনের একজন সদস্যকে রক্ষা করতে তিনি ব্যর্থ।'