প্রয়াগরাজ থেকে হাড় হিম করা ঘটনা সামনে এসেছে। নৃশংসভাবে তাজপুর গ্রামের একই পরিবারের ৫ জনকে হত্যা করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এই ঘটনার পরে অভিযুক্তরা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশের আশঙ্কা নিহত মহিলাদের সঙ্গে দুষ্কর্মও করা হয়ে থাকতে পারে।ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ইট-পাথরের দিয়ে সুরে ওই পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনা টি কী ঠিক হয়েছে?
পুলিশ ঘটনার খবর প্রদীপ কুমার যাদব, স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতদের আত্মীয়, তিনিই দিয়েছেন। প্রদীপ পুলিশকে জানিয়েছেন, যে তাঁর ভাই এবং বৌদিকে কেউ খুন করে দিয়েছে। এর সঙ্গে পরিবারের আরও তিন অন্য সদস্যকেও খুন করা হয়েছে। গণহত্যার খবর পেতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে এডিজির প্রয়াগরাজ, প্রেম প্রকাশ জানিয়েছেন যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে যে লুঠপাটের উদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকেছিল। তারপরে এই ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তারা প্রমাণ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। যদিও এখনও আরও ভালো করে তদন্ত ও তল্লাশি করতে হবে। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম এবং ডগ স্কোয়াডও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে লুঠপাট করতে আসা দল কেন পাথর ছুড়ে সময়সাপেক্ষ হত্যা করতে যাবে, যেখানে অন্য অনেক উপায়ে দ্রুত খুন করা সম্ভব। তা নিয়ে খটকা তৈরি হয়েছে।
কাদের হত্যা করা হয়েছে?
পরিবারের প্রধান রাজকুমার যাদব (৫৫), তার স্ত্রী কুসুম (৫০), মেয়ে মনীষা (২৫), পুত্রবধূ সবিতা (৩০) দু'বছরের নাতনি সাক্ষীকে খুন করা হয়।
মায়াবতী টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন
ঘটনার পর বহু জন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী টুইট করেছেন। তিনি এই ঘটনায় উত্তর প্রদেশে একই পরিবারের ৫ লোককে নৃশংসভাবে খুনের খবর দুঃখজনক। নিন্দনীয় এবং চিন্তাজনক বলে ব্যক্ত করেছেন। সরকার ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন।
অখিলেশ যাদবও টুইট করেছেন
তারপর সমাজবাদী পার্টির প্রধান টুইট করে জানিয়েছেন যে ইউপি অপরাধের ডুবে গিয়েছে আজকের এই অপরাধনামা তারই প্রমাণ।
পুলিশ দুষ্কর্মের আশঙ্কা করেছেন
পুলিশ পুত্রবধূ এবং মেয়ের সাথে দুষ্কর্ম করার আশঙ্কা করছে। মৃত মহিলাদের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। শোনার পর পুলিশ গ্রামে এবং আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সমাজবাদী পার্টি প্রবক্তা সরকারের ওপর আক্রমণ শাণিয়েছেন
সমাজবাদী পার্টি প্রবক্তা অনুরাগ ভাদুরিয়া জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সরকার জাতীয় ধর্ম, রাজনীতি এবং মার্কেটিং নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে লাগাতার হত্যা করা হচ্ছে। প্রয়াগরাজ দুবার হত্যার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। একই পরিবারের ৫ জনের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সরকার হাতের উপর হাত রেখে বসে রয়েছেন।
এক সপ্তাহ আগে হয়েছিল পাঁচ জনের হত্যা
আজ থেকে সাত দিন আগে গত শনিবার প্রয়াগরাজে একইভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেখানে পাঁচজনের হত্যা করা হয়েছিল। একই পরিবারের ৫ জনের গলা কেটে হত্যা করা হয়। মৃত স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের তিন বাচ্চা ছিল। পুলিশের দাবি অনুযায়ী স্ত্রী এবং তিন বাচ্চার মৃতদেহ বিছানার ওপর পড়ে থাকতে পাওয়া যায়। তাদের গলাকেটে হত্যা করা হয়েছিল। স্বামীর মৃতদেহ বাথরুমে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ এই বিষয়টি তদন্ত করছে। তা এখনও সমাধান হয়নি।