উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া শহরে হরর কিলিংয়ের মামলা সামনে এসেছে। এক নাবালিকা মেয়ের সিঁথিতে সিঁদুর দেখেই ভড়কে গেলেন মা। এমন ভড়কালেন খুন করেই শান্ত হলেন মেয়েকে। এমন ঘটনায় হতচকিত গোটা দেশ। মেয়েকে খুন করে শান্ত হলেন না। মেয়ের প্রেমিকের ওপর ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ আনলেন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের চোখ কপালে। অভিযোগ মিথ্যা তো প্রমান হলই, পাশাপাশি মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে খুনি মা-কে।
পুলিশের কাছে খবর আসে আত্মহত্যার
গত ২৮ অগাস্ট রাতে থানা দেবপুর এলাকায় রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে যে ১৭ বছরের একটি নাবালিকা কিশোরী ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে তার বাড়িতে পৌঁছয় এবং সেখান থেকে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু মায়ের ধারণা ছিল না, ময়নাতদন্ত সমস্ত সত্যিই আসলে বেরিয়ে আসে। পোস্টমর্টেম করার পর দেখা যায় যে আগে খুন করে তারপর তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
মাই খুন করে দড়িতে ঝোলায়
যার পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত করার পরই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মা নিজের মেয়েকে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশ অফিসার, ওমবীর সিংহ জানিয়েছেন, মৃত মেয়েটির মা তার সিঁথিতে সিঁদুর দেখেই ক্ষেপে যান এবং তার গলা টিপে হত্যা করে দেন। পুলিশ ওই কিশোরীর মা-কে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে নিয়েছে।
অনিচ্ছাকৃত খুন বলে দাবি মায়ের
গ্রেপ্তার হওয়া মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে অবিবাহিত ছিল এবং তার সিঁথিতে সিঁদুর ভরে বাড়ি চলে আসে যা দেখে তার মাথা ঠিক ছিল না মেয়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তারই মধ্যে তিনি উত্তেজনাবশত গলা টিপে ধরেছেন। তাতেই তার মৃত্যু হয়ে যায়। তাকে খুন করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না বলে দাবি মায়ের।
গোটা দেশে চাঞ্চল্য
যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে ঐদিন গ্রামের একটি ছেলের ওপর তার মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ জানিয়েছিল। যা নিয়ে পুলিশ সক্রিয় হয় এবং তদন্ত করতে গিয়ে উল্টো ঘটনা সামনে আসে। যা নিয়ে গোটা উত্তর প্রদেশ তো বটেই খবর ভাইরাল হতে গোটা দেশেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।