Advertisement

অ্যাপ-এ সেক্স চ্যাটের ফাঁদে পা! ৫ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত পাটুলির যুবক

মে মাসের মাঝামাঝির দিকে ফেসবুকে একটি ডেটিং অ্যাপ-এর বিজ্ঞাপন দেখতে পান পাটুলির বাসিন্দা ওই যুবক। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে অ্যাপটি ইনস্টল করেছিলেন। সেখানেই বহু যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়। নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে সেখানে চ্যাট করার অনুরোধ করলে ওই যুবক কথা বলতে শুরু করেন নতুন বান্ধবীর সঙ্গে।

ছবিটি প্রতীকী
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 02 Jun 2021,
  • अपडेटेड 8:18 PM IST
  • ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত দক্ষিণ কলকাতার ওই যুবক
  • হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে সেখানে চ্যাট করার অনুরোধ
  • ১৮ মে রাতে ভিডিও সেক্স চ্যাট করতে চেয়ে আবেদন

সোশ্যাল মিডিয়ায় সেক্স ভিডিও চ্যাটের ফাঁদে পা দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন পাটুলির যুবক। ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ের অভিযোগ অজ্ঞাত পরিচয় দু'জনের বিরুদ্ধে। ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত দক্ষিণ কলকাতার ওই যুবক। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ।

আরও পড়ুন: জোর করে দেহব্যবসায় ঠেলে দেওয়া! পালিয়ে ভারতে এসে বিপাকে বাংলাদেশী যুবতী 

কী ঘটেছিল?

জানা গিয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝির দিকে ফেসবুকে একটি ডেটিং অ্যাপ-এর বিজ্ঞাপন দেখতে পান পাটুলির বাসিন্দা ওই যুবক। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে অ্যাপটি ইনস্টল করেছিলেন। সেখানেই বহু যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয়। নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে সেখানে চ্যাট করার অনুরোধ করলে ওই যুবক কথা বলতে শুরু করেন নতুন বান্ধবীর সঙ্গে। এরপরই ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন দু'জনে। গত ১৮ মে রাতে ভিডিও সেক্স চ্যাট করতে চেয়ে আবেদন জানায় অপর প্রান্তে থাকা ওই যুবতী। এরপরেই ফাঁদে পা দিয়ে তার সঙ্গে ভিডিও সেক্স চ্যাটে লিপ্ত হন ওই যুবক। দুজনের সব অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলি নিজের ফোনে স্ক্রিন রেকর্ডের মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখে ওই যুবতী।

ছবি নিজস্ব

 

এর মিনিট ১৫ পর থেকেই টাকা চেয়ে আসতে থাকে হুমকি। অবিলম্বে টাকা না মেটালে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়, এই হুমকি দিয়ে তাঁর থেকে টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক দফায় টাকা দিয়ে বিষয়টি তখনকার মতো মিটিয়ে ফেলেন তিনি। এর পরদিন ফের ইউটিউবার পরিচয় দিয়ে আশিস কুমার নামে এক যুবক তাঁকে ফোন করে জানায়, তার নগ্ন ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করা হবে, তা আটকাতে চাইলে তাদের কোম্পানিকে কিছু টাকা দিতে হবে। 

Advertisement

অভিযোগকারী যুবকের দাবি, পরপর বেশ কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় টাকা পাঠাতে পাঠাতে মোট ৫ লক্ষ টাকারও বেশি তিনি পাঠিয়ে ফেলেন। অভিযুক্তদের চাহিদা মেটাতে বন্ধুদের থেকে টাকা ধার করতে হয় তাঁকে। এরপরও হুমকি না-থামায় বাধ্য হয়ে নিজের আইনজীবী বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। পরদিন আইনজীবী শুভদীপ রায়কে সঙ্গে নিয়ে লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় যান অভিযোগকারী যুবক। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই মামলার আইনজীবী শুভদীপ রায় বলেন, এই ধরনের অভিযোগ অনেকদিন ধরেই আসছে, এটা সাইবার  অপরাধের আওতায় পড়ে। যথাসাধ্য আইনি সহযোগিতা দিয়ে আমি সাহায্য করছি। দোষীদের খুঁজে বার করবই। পুলিশ আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।'

লালবাজার সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজস্থানের ভরতপুরের বেশ কয়েকটি গ্যাং এই ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। এই গ্যাংয়ে যুক্ত রয়েছে প্রচুর যুবক-যুবতী। তারা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের করে পরে একই কায়দায় ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে টাকা আদায় করাই এই গ্যাংয়ের কাজ। কয়েক মাস আগে এই গ্যাংয়ের ফাঁদে পা দিয়ে টাকা না দিতে পেরে আত্মসম্মান খোওয়ানোর ভয়ে আত্মহত্যা করেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সহকারি এক যুবক। সেই অভিযোগে ভারতপুর থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তবে ফের নতুন করে এই অভিযোগ আসতে থাকায় এই গ্যাং যে এখনও যথেষ্ট সক্রিয় তা বলাই যায়।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement