শেষ ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিক্ষয় হয়েছে অশনির। ৬ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বর্তমানে এটি ওড়িশা উপকূলের দিকে এগলেও ল্যান্ডফলের আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের আরও কাছে অশনি। আজই পৌঁছবে উত্তর অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের কাছে। সমুদ্রে বাঁক নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিক্ষয় করে দুর্বল হবে অশনি।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে উপকূলীয় এলাকা গুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে উপকূলীয় এলাকা গুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নামখানার মৌসুমী দ্বীপ এবং সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর জরুরি বিভাগগুলির অধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করা হয়। কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে তার রূপরেখাও তৈরি করে ফেলা হয়। আলিপুরে জেলা সদর এবং প্রতিটি মহকুমা শাসকের দফতর এবং বিডিও অফিসগুলিতে একটি করে কন্ট্রোল রুম খুলে ফেলা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পাঁচটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম তৈরি রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, বর্তমানে পশ্চিমমধ্য এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, বিশাখাপত্তনমের ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, ওডিশার গোপালপুর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ৫৭০ কিলোমিটার ওড়িশার পুরীর দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে দূরে অবস্থিত।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়।
অশনির প্রভাবে উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের উপর বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত সহ কয়েকটি স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় ওড়িশার বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। পাশাপাশি সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের( সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা এখনও নদী বা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরও ফিরে আসারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।