করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ধীরে ধীরে সামালে উঠছে দেশ। কিন্তু এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউ । আর এই তৃতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা শিশুদের। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দেশে ভ্যাকসিন চালু হলেও এখনও শিশুদের তেমন সুযোগ নেই। এই আবহে চিন্তা বাড়ছিল বাবা-মার। তবে আশার আলো দেখালেন AIIMS ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
AIIMS ডিরেক্টর জানিয়েছেন সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য টিকা বাজারে আসতে পারে।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিন কতটা গ্রহণযোগ্য সেই সম্পর্কে ট্রায়াল চলছে। এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সেপ্টেম্বর মাসেই সম্পূর্ণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ট্রায়ালের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সেপ্টেম্বর মাসেই শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিন ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
ট্রায়ালের জন্য ইতিমধ্যে ২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের নির্বাচন শুরু করেছে দিল্লি AIIMS। মে মাসের ১২ তারিখ DCGI ভারত বায়োটেককে অনুর্ধ্ব ১৮-দের উপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দিয়েছিল।
আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ আগামী অক্টোবর মাসেই নাকি আছড়ে পড়তে পারে আমাদের দেশে। এবং সেক্ষেত্রে আক্রান্তের তালিকায় প্রধানত থাকবে শিশুরা। তার আগে ভ্যাকসিন বাজারে এসে গেলে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে।
এদিকে এবার রাজ্যেও শুরু হচ্ছে শিশুদের ওপর করোনা টিকার ট্রায়াল। পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে শুরু হবে এই ট্রায়াল। জানা গিয়েছে, জাইডাস-ক্যাডিলা সংস্থার ভ্যাকসিন দিয়ে হবে এই ট্রায়াল। চলতি সপ্তাহের শেষেই শুরু হবে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
শিশুদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে নিয়মের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না । জানা গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও ৬ মিলিগ্রামের ডোজ দেওয়া হবে।
এদিকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ভারতে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গেলে তা শিশুদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন AIIMS ডিরেক্টর।