এমনিতেই বর্ষার মরসুমের শেষের শুরু হয়েছে। উত্তর পশ্চিম ভারতে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে সোমবার থেকেই। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে এখন সময় লাগবে। এসবের মাঝেই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তাতে রীতিমত বিপর্যন্ত জনজীবন।
ভারী বৃষ্টির জেরে ভাসছে তেলেঙ্গনা। রাজ্যটিতে ইতিমধ্যে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। হাইটেক শহর হায়দরাবাদের রাস্তাগুলোকে নদীর থেকে আলাদা করে চেনার উপায় নেই। অনেক গাড়ি জলের তলায়। বহুবাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে।
অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে তেলেঙ্গনায়। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে জরুরী ভিত্তিতে ১,৩৫০ কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার আবেদন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও।
গত ১১৭ বছরের ইতিহাসে অক্টোবর মাসে এমন বৃষ্টি দেখেনি নিজামের শহর। কেবল গ্রেটার হায়দরাবাদ এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। এরমধ্যে বাদলগুড়ার মোহাম্মদিয়া হিলে দেওয়াল চাপা পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ২ মাসের এক শিশুও।
হায়দরবাদ থেকে একের পর এক ভয়ংকর ভিডিও সামনে আসছে। কোথাও দেখা গিয়েছে অসহায়ের মতো জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে মানুষ। কোথাও আবার গাছের ডালকে আঁকড়ে থাকা মানুষকেও টেনে নিয়ে যাচ্ছে জল। অবস্থা রীতিমতো ভয়াবহ।
গত ২ দিন হল ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল মহারাষ্ট্রও। ইতিমধ্যে ৩ জেলার ২০ হাজার মানুষকে অন্যত্র নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোঙ্গন উপকূলে আরও ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে আইএমডি।
পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দক্ষিণের আরেক রাজ্য কর্ণাটকেও। ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যের একাধিক অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাঁধগুলি খুলে দেওয়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।