উত্তরপ্রদেশে BJP-র জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শিরোনামে 'বুলডোজার বাবা'। ভোটের ফল কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর এই 'বুলডোজার বাবা'-কে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে উত্তর প্রদেশে BJP-র জয়ের পিছনে রয়েছেন এই 'বুলডোজার বাবা'।
শুধু তাই নয় উত্তরপ্রদেশের এবারের প্রচারে বুলডোজারের ব্যবহারও হয়েছে বহুল। যার ফলে জনসমাগমও হয়েছে। সেই সব বুলডোজারের মাথায় লেখা থাকত 'বুলডোজার বাবা।'
এখন অনেকের প্রশ্ন কে এই 'বুলডোজার বাবা'? আর কেউ নন, উত্তর প্রদেশের BJP কর্মী-সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে 'বুলডোজার বাবা' বলে থাকেন। তিনিও এতে আপত্তি করেননি।
মহারাজগঞ্জ জেলার নিচলৌলে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর জনসভায় বুলডোজার হয়ে উঠেছিল মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আবার প্রচারে যোগী মঞ্চে পৌঁছে বুলডোজারের কথাও বলতে শুরু করেন। তিনি বলেছিলেন, বুলডোজার হাইওয়ে বানায়, বন্যা প্রতিরোধ করে। আবার অবৈধ দখলদারিত্বও থেকেও মুক্ত করে।
সুলতানপুরে এক সমাবেশেও সারিবদ্ধভাবে বুলডোজার বসানো হয়। এই সমাবেশে 'বাবা কা বুলডোজার' নামের ব্যানারও টাঙানো হয়। সেই ছবি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যোগীকে 'বুলডোজার বাবা' বলে ডাকা হচ্ছে।
তারপর প্রায় প্রতিটি সমাবেশে বুলডোজারের উল্লেখ না করে থাকতে পারেননি যোগী নিজেও। BJP- সমর্থকদের দাবি, অখিলেশ যাদব এই শব্দবন্ধকে জনপ্রিয় করার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি সভা-সমাবেশে এই বুলডোজার বাবা-র কথা বলতেন। আর তাই বুমেরাং হয়েছে।
বিজেপি সমর্থকদের আরও দাবি, এসপি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে 'বুলডোজার বাবা' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু যোগী সেই তাকেই নিজের পরিচয় বানিয়ে নেন।
যদিও যোগী বিভিন্ন সভা থেকে বলতে শুরু করেন, পরবর্তী সরকার গড়লেও বুলডোজার চলবে। কারণ, এই বুলডোজার সুশাসনের প্রতীক।
এমন পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচনে বুলডোজারও ছিল অনেকটা অগ্নিপরীক্ষার মতো। কিন্তু এবারও তাতে পাশ করেছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর এক সমর্থক তাঁর কপালে খেলনা বুলডোজার বেঁধে বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছেন।