পাকিস্তানের আর্জিতেই সংঘর্ষবিরতি, শহিদ ভারতের ৫ জওয়ান: DGMO

রবিবার তিন বাহিনীর ডিজিএমও অপারেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন। সশস্ত্র বাহিনী আরও জানিয়েছে যে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করা। ভারত এই কাজে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন যে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি টার্গেট করা হয়েছিল। তাতে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কান্দাহার হাইজ্যাক এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত ইউসুফ আজহার, আব্দুল মালিক এবং মুদাসসির আহমেদের মতো জঙ্গিরাও রয়েছেন।

রাজীব ঘাই বলেছেন যে সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানি গোলাগুলির তীব্র জবাব দিয়েছে ভারত। এই অভিযানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৩০-৪০ জন সেনা ও অফিসারকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ভারতের পাল্টা আক্রমণ এড়াতে পাকিস্তান অসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল, কিন্তু আমরা কোনও অসামরিক বিমানকে টার্গেট করিনি এবং পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত করেছি।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে-সহ গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি আস্তানাগুলিকেও টার্গেট করা হয়েছিল, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। রাজীব ঘাই বলেন, পাকিস্তান ছোট ড্রোন এবং ইউএভি-র মাধ্যমে আমাদের সামরিক ঘাঁটি এবং বিমান ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে শুরুতে পাকিস্তানি সেনারা আমাদের টার্গেট ছিল না এবং আমাদের টার্গেট ছিল কেবল জঙ্গিদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্য করা। বাহিনী জানিয়েছে, যখন পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালায়, তখন আমরাও কড়া জবাব দিয়েছিলাম, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেনাবাহিনী বলেছে যে আমাদের কাজ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা, যা আমরা খুব ভালভাবে করেছি, মৃতদেহ গণনা করা আমাদের কাজ নয়।