
লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ৯ মিমি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। সূত্র ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানিয়েছে, দুটি কার্তুজ তাজা রাউন্ড এবং তৃতীয়টি খালি খোল। বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ৯ মিমি কার্তুজ সাধারণত নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশ কর্মীরা ব্যবহার করেন। তাই এই উদ্ধার দেশের সুরক্ষা নয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যদিও,পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনাস্থল থেকে কোনও পিস্তল বা অস্ত্রের অংশ পাওয়া যায়নি। তাই কার্জুতগুলি কীভাবে এখানে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত তাদের নিজস্ব কর্মীদের দেওয়া গুলিও যাচাই করেছে, তবে তাদের কোনও রাউন্ডের হিসাব পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে, ইন্ডিয়া টুডে টিভি ২৩টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ অ্যাক্সেস করেছে। যাতে ১০ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লা বিস্ফোরণে প্রাথমিক সন্দেহভাজন উমর নবীর চালানো হুন্ডাই আই২০ গাড়ির সম্পূর্ণ গতিবিধি ধরা পডেছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ উমরের মায়ের কাছ থেকে নেওয়া নমুনার সঙ্গে মিলে যাওয়ার পর উমরের পরিচয় নিশ্চিত করা গিয়েছে।
ভারত সরকার এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই কট্টর মতাদর্শের প্রতিটি যোগসূত্র পরীক্ষা করে দেখছে। দিল্লি থেকে কাশ্মীর, হরিয়ানা থেকে কেরালা পর্যন্ত এই নেটওয়ার্কের বিস্তারের পুরো অধ্যায়টি উন্মোচিত হচ্ছে। প্রশ্নটি উঠছে, কারা এই তরুণদের মৌলবাদী করছে? এই "সন্ত্রাস ভাইরাস" কীভাবে তাদের মনে প্রবেশ করানো হচ্ছে? মৌলবাদী সংগঠনগুলি এখন তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। কাসবের মতো লোক পাঠানোর পরিবর্তে তারা উমরের মতো শিক্ষিত আত্মঘাতী বোমারুদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এটি মৌলবাদীকরণের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে। এখানে, সন্ত্রাসবাদীরা কেবল বন্দুকই নয়, চিকিৎসা জ্ঞান, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সোশ্যাল মিডিয়াও ব্যবহার করছে। এই কারণেই হোয়াইট কলার সন্ত্রাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠেছে।