Advertisement

SIR Aadhaar Card: আধারই কি নাগরিকত্বের প্রমাণ? সুপ্রিম কোর্ট যা জানাল

আধারকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। এমনই অবস্থান নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল সুপ্রিম কোর্ট।

আধার কার্ডই কি নাগরিকত্বের প্রমাণ? আধার কার্ডই কি নাগরিকত্বের প্রমাণ?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 Aug 2025,
  • अपडेटेड 9:09 PM IST
  • আধারকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না।
  • এমনই অবস্থান নিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
  • মঙ্গলবার কমিশনের সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল সুপ্রিম কোর্ট।

আধারকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। এমনটাই বলছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল সুপ্রিম কোর্ট। জানাল, নাগরিকত্বের প্রমাণ আলাদাভাবে যাচাই করতেই হবে। বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মন্তব্য উঠে আসে। বিহারের ভোটার তালিকার সংশোধন নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন ঠিকই বলেছে যে আধার নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়। এটি যাচাই করতেই হবে।' সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বলের(মামলাকারীদের পক্ষে) উদ্দেশে তিনি এমনটা বলেন।

 ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
শীর্ষ আদালত জানায়, প্রথমেই ঠিক করতে হবে নির্বাচন কমিশনের আদৌ এই যাচাই প্রক্রিয়া চালানোর অধিকার আছে কি না। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, 'যদি অধিকার না থাকে, তবে এখানেই সব শেষ। কিন্তু যদি অধিকার থাকে, তবে সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।'

কপিল সিব্বলের যুক্তি
কপিল সিব্বল দাবি করেন, কমিশনের এই প্রক্রিয়ায় বহু ভোটারের নাম বাদ পড়বে। বিশেষ করে যাঁরা প্রয়োজনীয় ফর্ম জমা দিতে পারবেন না, তাঁরা বাদ পড়বেন। এমনকি ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদেরও নতুন করে ফর্ম জমা দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে, ঠিকানা বদল না হলেও নাম কেটে দেওয়া হবে।

তিনি জানান, কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ৭ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ ফর্ম জমা দিয়েছেন। অথচ ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তাতে মৃত্যুর বা স্থানান্তরের কোনও যথাযথ তদন্তও হয়নি। তাঁর কথায়, 'তাঁদের হলফনামাতেই বলা আছে, যে কোনও সমীক্ষাই চালানো হয়নি।'

৬৫ লক্ষ নাম কীভাবে বাদ গেল?
আদালত প্রশ্ন তোলে, ৬৫ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার হিসাব কীভাবে এল? এই পরিসংখ্যান বাস্তব তথ্যের ওপর, নাকি অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি? বেঞ্চ জানায়, যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের নাম ইতিমধ্যেই খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে।

সিব্বল জানান, ২০২৫ সালের তালিকায় ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯০ লক্ষ। এর মধ্যে ২০০৩ সালের তালিকায় ছিলেন ৪ কোটি ৯০ লক্ষ। মৃত ভোটারের সংখ্যা ধরা হয়েছে ২২ লক্ষ।

Advertisement

ভোটার বাদ যাওয়ার তথ্য প্রকাশ না করার অভিযোগ
মামলাকারীদের পক্ষেই ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ। তিনি অভিযোগ করেন, মৃত্যু বা ঠিকানা বদলের কারণে বাদ পড়া ভোটারের তালিকা আদালতে বা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেনি ইসি। তাঁর বক্তব্য, 'তাঁরা বলছেন কিছু তথ্য বুথ-লেভেল এজেন্টদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্য কাউকে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।'

বেঞ্চ জানায়, ভোটার যদি আধার ও রেশন কার্ডসহ ফর্ম জমা দেন, কমিশনের তা যাচাই করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আদালত আরও জানতে চায়, যাঁদের নথি অসম্পূর্ণ, তাঁদের কি যথাযথভাবে তা জানানো হয়েছে?

আদালতের এই রায়ে একটি বিষয় স্পষ্ট, শুধুমাত্র আধারকে কোনওমতেই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ঘরা যাবে না। ফলে ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে শুধু আধার দেখালেই তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

Read more!
Advertisement
Advertisement