Advertisement

'নন-ভেজ না খেলেও আমায় মারত আফতাব', বন্ধু পুনমকে বলেছিলেন শ্রদ্ধা

পুনম আরও জানান, একবার শ্রদ্ধা একবার মার খেয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন। তখন তাঁর কপালে ও গালে কালশিটের দাগ ছিল। ঘাড়ে কামড়ের দাগও ছিল। কী হয়েছে জানতে চাওয়ায়, শ্রদ্ধা জানায়, আফতাব তাকে বেধরক মারধর করে তাঁর গলাটিপে খুন করতে চেয়েছিল। তাই তিনি পালিয়ে এসেছেন। মারধরের কারণ আর কিছুই নয়, শ্রদ্ধা আমিষ খেতে রাজি হয় নি।

Sharddha Sharddha
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 20 Nov 2022,
  • अपडेटेड 3:52 PM IST
  • 'আফতাবকে আগলে রাখত তার বাবা-মা'
  • 'তিনবার সাহায্য চাইতে এসেছিলেন শ্রদ্ধা'

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নৃশংসতায় কার্যত চমকে উঠেছে গোটা দেশ। গলাটিপে খুনের পর শ্রদ্ধা ওয়াকারকে কার্যত কচুকাটা করেছে তাঁরই লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব। চলতি বছরের ১৮ মে দিল্লির এই ঘটনার জেরে শিউরে উঠছেন অনেকেই। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রদ্ধার পরিচিত পুনম বিড়লান। মুম্বইয়ে থাকার সময় শ্রদ্ধাকে সাহায্য করেছিল পুনম।


ঠিক কী বলেছেন তিনি?


'তিনবার সাহায্য চাইতে এসেছিলেন শ্রদ্ধা'

আরও পড়ুন

মুম্বাইয়ের ভাসাই সংলগ্ন নালাসোপাড়া এলাকায় থাকেন পুনম বিড়লান। পুনম জানান, শ্রদ্ধা ও আফতাব যখন এভার শাইন এলাকায় থাকতে আসেন, তখন শ্রদ্ধা ৩ বার তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে আসেন। একবার পুনম শ্রদ্ধাকে তার সঙ্গে তুলিঞ্জ থানায় নিয়ে আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি শ্রদ্ধা। সেই রাতে শ্রদ্ধাকে বাবা-মায়ের কাছে দিয়ে এসেছিল পুনম। 

নন-ভেজ খেতে অস্বীকার করলে আফতাব তাকে মারধর করত।

পুনম আরও জানান, একবার শ্রদ্ধা একবার মার খেয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন। তখন তাঁর কপালে ও গালে কালশিটের দাগ ছিল। ঘাড়ে কামড়ের দাগও ছিল। কী হয়েছে জানতে চাওয়ায়, শ্রদ্ধা জানায়, আফতাব তাকে বেধরক মারধর করে তাঁর গলাটিপে খুন করতে চেয়েছিল। তাই তিনি পালিয়ে এসেছেন। মারধরের কারণ আর কিছুই নয়, শ্রদ্ধা আমিষ খেতে রাজি হন নি।

'সে তোমাকে এত মারছে, তুমি তার সঙ্গে বাঁচবে কী করে?
পুনম শ্রদ্ধাকে পরামর্শ দেন, তিনি এবং আফতাব একদমই বিপরীতধর্মী চরিত্রের। তাই তাঁদের একসঙ্গে থাকা উচিত নয়। 

'আফতাবকে আগলে রাখত তার বাবা-মা'

পুনম জানান, শ্রদ্ধা অনেক সময় আফতাবকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু আফতাবের বাবা-মা তাঁকে যেতে দিত না। ভুলিয়ে-ভালিয়ে ছেলের সঙ্গে থাকতে রাজি করাত। পুনম শ্রদ্ধার এই পরিণতির জনয আফতাবের বাবা-মায়ের মনোভাবকেও দায়ী করেন। 


'মারধরের পর বাড়ি ফেরেনি আফতাব'

আফতাব যেদিন আমিষ খাবার খাওয়ার জন্য শ্রদ্ধাকে মারধর করেছিল, সেদিন তিনি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কথা বলতে পারছিলেন না। পুনম সেদিন তাঁকে তাঁর সঙ্গে থেকে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু শ্রদ্ধা থাকেনি। তাঁর আক্ষেপ, শ্রদ্ধা তাঁর কথা শুনলে হয়ত তাঁর এই পরিণতি হত না। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement