
‘অ্যাজেন্ডা আজ তক’ এর জমকালো দ্বিতীয় দিন আজ। বুধবার প্রথমদিনে রাজনৈতিক নেতা থেকে অভিনেতা, বহু নামী ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনেও হাজির থাকছেন দেশ ও রাজনীতির তাবড় ব্যক্তিত্বরা, বিনোদন জগতের তারকা এবং ভারতের ক্রীড়াজগতের আইকনরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একের পর এক সেশন, আলোচনা, বিতর্ক, মতামত আর ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরবেন বক্তারা। প্রথম দিনে অভিনেতা আমির খান, জয়দীপ আহলাওয়াত, অগস্ত্য নন্দা, মধুবন্তী বাগচী এবং প্রযোজক দীনেশ ভিজান তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। রাজনীতিতে ছিলেন অখিলেশ যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, রাজ্যসভার সাংসদ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। দ্বিতীয় দিনের রাজনৈতিক লাইন-আপও বেশ জোরদার। থাকছেন বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কংগ্রেস নেত্রী রঞ্জিত রঞ্জন, শিবসেনার নরেশ মাস্কে, আরজেডির সুধাকর সিং, এলজেপি (আর)-এর অরুণ ভারতী, সমাজবাদী পার্টির রাজীব রাই, কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং ও সচিন পাইলট সহ আরও অনেকে।
সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যুতে হত্যার মামলায় শুক্রবার সকাল ১১টায় চার্জশিট পেশ করবে তদন্তকারী SIT। অ্যাজেন্ডা আজতকে এসে এমনটাই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এই মুহূর্তে বিধানসভা নির্বাচন হলে পশ্চিমবঙ্গে কত আসন পেতে পারে BJP? সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'BJP ১৬০ থেকে ১৮০ আসন পাবে এবারের নির্বাচন'।
বাঙালি অস্মিতার কথা বলে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করছেন মমতা। বন্দে মাতরম নিয়ে তৃণমূল কী করেছে। নিজের পরিবার ও দলের নেতা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও ছজন্য কিছু করেননি। বিজেপি বিধানসভায় ১৬০-১৮০টি সিট পাবে।
সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, তাঁর ছোট মেয়ে এখনও বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। তাঁর বড় মেয়ের প্রাইমারি স্কুলও বাংলা মিডিয়াম ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কোনও সদস্য কেন বাংলা মিডিয়ামে পড়ে না? প্রশ্ন তুললেন BJP-র সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
গুজরাত বিজেপিতে গেলেও বাঙালির ছবি পাবেন। শ্যামাপ্রসাদের ছবি সব খানে পাবেন। আমার ছোট মেয়ে বাংলা মিডিয়ামে পড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেই বাংলা মিডিয়ামে পড়ে। বাংলা অস্মিতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। রাজ্য বিজেপি বাঙালি নেতারাই চালায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা অস্মিতার কথা বলে রাজ্যসভায় অন্য রাজ্য থেকে লোক পাঠান।
জিন্নার বাসনা ছিল কলকাতা পাকিস্তানে থাকবে। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীদের সাহায্য নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার জন্য সীমান্তে বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। অনুপ্রবেশ নিয়ে অভিযোগ সুকান্তর। জমি না দিলে কাজ হবে কী করে। এখানে আধার ও ভোটার কার্ড সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে। মমতার সরকার রয়েছে বাংলায়।
৫৭ লক্ষ ফর্ম এখনও ফিরে আসেনি, ৫০ লক্ষের বেশি লোককে হিয়ারিং-এ ডাকা হবে। SIR প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরে যাচ্ছেন।
সায়েন্টিফিক রিগিং কথাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেন। অনুপ্রবেশ নিয়েও সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলাকে ভাগ করছেন। ক্ষমতায় এসে তাঁর বদল হয়নি।
SIR মোকাবিলায় কলকাতায় ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বাংলায় বিপক্ষের কর্মীদের ওপর হামলা হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমনটা ঘটে না।
ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি সকলের কাছে স্পষ্ট, আমরা সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। আমাদের শাসন যেখানে রয়েছে, সেখানে হিন্দুদের জন্য আলাদা কোনও স্কিম তৈরি হয়নি। এই নীতি বুঝতে পারছেন না বাংলার মুসলিমরা। নইলে প্রতি বাড়ি থেকে আব্দুল কালাম তৈরি হত। বললেন সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত বলেন, "বাংলায় দুর্গাপুজো হয়, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন মহরম আর দুর্গাপুজো একসঙ্গে হতে পারে না। আমরা তো চাই মহরম আর দুর্গাপুজো একসঙ্গে হোক। সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো হয় যে বিজেপি হলে তাদের অত্যাচার করবে কিন্তু বিজেপি 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ'-এ বিশ্বাসী। ভারতমাতার সব সন্তান সমান।"
বাংলায় ইফতার পার্টি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজায় করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো ও মহরম একসঙ্গে হতে পারে না। অ্যাজেন্ডা আজতকের মঞ্চে বললেন সুকান্ত। বিজেপি মনে করে, সবার বিকাশ করা হবে।
ধর্মের ভিত্তিতে বাংলায় ভোট পাচ্ছেন মমতা। রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোনও উন্নতি করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই 'দুধেল গাই' বলেন। বললেন সুকান্ত মজুমদার।
ভারতীয় জনতা পার্টি ক্যাডার বেসড দল, এদল দল লিডার তৈরি করে। বাংলায় কোনও নেতৃত্বের সমস্যা নেই। দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার
সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, "শুধু বাংলা জয়ের জন্য জয় করা নয়। দেশের জন্যও দরকার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবাদী সরকার গড়ে তোলা দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা পদক্ষেপ তা দেশের ভাবমূর্তি খারাপ করেছে। আমরা বাংলা জয় করবই।"
দেশের প্রয়োজনে বাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার দরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাষ্ট্রবাদী নয়, আমরা এবার বাংলায় বিজেপির সরকার তৈরি করব।
অ্যাজেন্ডা আজতকের মঞ্চে এলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০২৬ এ নির্বাচন নিয়ে কী পরিকল্পনা জানাবেন।
গান্ধী ছাড়া কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা কে? প্রশ্নের উত্তরে সচিন পাইলট ও দিগ্বিজয় সিং বললেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন? সচিন ও দিগ্বিজয়ের উত্তর, 'কেন নয়?'
কংগ্রেসের ভিতরে অনেক বদলের বিষয়ে শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড সবার জন্য খোলা নয়। আজতক-এর রিপোর্টার মৌসুমি সিংয়ের প্রশ্নে সচিন পাইলট বললেন, সমর্থক, কর্মীরাই আমাদের শক্তি। আমাদের কংগ্রেসের নির্বাচনী অধ্যক্ষ মল্লিকার্জুন খাড়গে। আমরা সবাই মিলে পার্টি চালাই। কোনও একটি হাইকম্যান্ড নেই কংগ্রেসে। এটা বলা ভুল, সবার জন্য হাইকম্যান্ডের দরজা খোলা নয়। আমরা সারাদিন দলের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকি। আমাদের অধ্যক্ষ নির্বাচন স্বচ্ছ হয়। সবাই জানতে পারে। বিজেপি-তে সব গোপনে হয়।
কংগ্রেসের সংগঠনে কোনও বদল দরকার? সচিন পাইলট বললেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কিন্তু শাসকদল হওয়া সত্ত্বেও অনেক রাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি। আমরা ভোটে হেরেছি ঠিকই। কিন্তু ভবিষ্যত্ কেউ দেখেনি। আমরা একশোবার হারলেও বলব, গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিরোধীদের সম্মান দেওয়া উচিত। বর্তমানে তা হয় না। আমাদের ত্রুটি আমরা স্বীকার করছি। কিন্তু হেরেছি বলে আমাদের একতরফা ভাবে শাসকদল ইডি, সিবিআই, পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করছে। এটা গণতন্ত্র? আমরা চাই নির্বাচন স্বচ্ছ হোক। হার-জিত তো আছেই। ভোট শেয়ার কমে যাওয়া নিয়ে সচিন পাইলটের বক্তব্য, যারা ভোটে হারে, তারাই সেই ব্যথা বোঝে। আমরা পরবর্তী ভোট জিতবই। কিন্তু বিরোধীদের শেষ করে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, সেটা বন্ধ হওয়া উচিত। বারবার নেহরুজিকে টেনে কী লাভ? আপনি ১১ বছরে কী করেছেন? দিগ্বিজয় সিংয়ের কথায়, আপনি দেখুন, সঙ্ঘের বিচারধারা শুধু বিজেপি মানে। এনডিএ-র বাকি দলগুলি মানে কী?
কংগ্রেসের বারবার, সব ভোটে এত ভরাডুবি কেন? কী বলছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং ও সচিন পাইলট?
ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামে রেকর্ড পতন নিয়ে বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদীর ব্যাখ্যা, 'আজ দুনিয়াতে ডি-ডলারাইজেশন চলছে। একসময় আমেরিকা ছিল গ্রেট। এখন বলছে, মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন। সমস্যা আমেরিকাতেও রয়েছে। একসময় ডলার মজনু ও ভারতীয় মুদ্রা লায়লা ছিল। সেই দিন এখন অতীত।'
পরিবেশ দূষণ কিন্তু কংগ্রেসের রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এই ইস্যু মানুষের। কংগ্রেসের উচিত, দূষণ ইস্যুতে আমরা ভাল কাজ করব, এই বিষয়টি মানুষকে বোঝানো ও বিশ্বাস বাড়ানো। বিজেপি কাজ করছে না, এই সব বলে লাভ নেই। বললেন ITGD-র নিউজ ডিরেক্টর কমলেশ সিং।
শুরু হয়ে গেল অ্যাজেন্ডা আজতক-এর দ্বিতীয় দিনের বিতর্ক সভা।
প্রথম দিনে মঞ্চে ছিলেন অভিনেতা আমির খান, জয়দীপ আহলাওয়াত, অগস্ত্য নন্দা, মধুবন্তী বাগচী এবং প্রযোজক দীনেশ ভিজান তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। রাজনীতিতে ছিলেন অখিলেশ যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, রাজ্যসভার সাংসদ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সালমান খুরশিদ।
১০:০০ – ১০:৪৫: বিরোধীরা কি মোদীর টক্কর দিতে ব্যর্থ?
বক্তারা:
সুধাংশু ত্রিবেদী (বিজেপি)
রঞ্জিত রঞ্জন (কংগ্রেস)
নরেশ মাহস্কে (শিবসেনা)
সুধাকর সিং (আরজেডি)
অরুণ ভারতী (এলজেপি-আর)
রাজীব রাই (সমাজবাদী পার্টি)
১০:৪৫ – ১১:৩০ মিনিট: খালি হাত কতদিন?
বক্তারা:
দিগ্বিজয় সিং (কংগ্রেস)
সচিন পাইলট (কংগ্রেস)
১১:৩০ – ১২:১৫ মিনিট: রকুল কি প্রীত
বক্তা:
রকুল প্রীত সিং (অভিনেত্রী)
১২:১৫ – ১২:৪৫ মিনিট: বিজেপির ‘মিশন বাংলা’
বক্তা:
সুকান্ত মজুমদার (শিক্ষা ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী)
১২:৪৫ – ১:৩০: ইনজেকশন দিন, ওজন কমান!
বক্তারা:
চিকিত্সক অশোক শেঠ
ডঃ মনিকা অরোরা
ডঃ প্রীজিত কৌর
১:৩০ – ২:৩০ pm: লাঞ্চ ব্রেক
২:৩০ – ৩:১৫: আমাদের মেয়েরা কি ছেলেদের চেয়ে কম?
বক্তারা:
শেফালি ভার্মা
দীপ্তি শর্মা
জেমিমা রড্রিগস
(তিনজনই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী সদস্য)
৩:১৫ – ৪:০০: 'বন্দে মাতরম'-এর ১৫০ বছর
বক্তারা:
কবি কুমার বিশ্বাস
সজল চট্টোপাধ্যায় (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র)
জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় (প্রপৌত্র)
৪:০০ – ৪:৩০ মিনিট: স্বামী, স্ত্রী এবং টিভি
বক্তারা:
রবি দুবে
সারগুন মেহতা
৪:৩০ – ৫:০০: মোদীর ‘চিরাগ’
বক্তা:
চিরাগ পাসোয়ন (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)
৫:০০ – ৫:৩০: ফ্লাইট ফাইট
বক্তা:
কে. রামমোহন নাইডু (বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী)
৫:৩০ – ৬:০০ মিনি: ওটিটির ‘রানী’
বক্তা:
হুমা কুরেশি
৬:০০ – ৬:৩০: বাবার ধন যোগ!
বক্তা:
বাবা রামদেব
৬:৩০ – ৭:১৫: একজন বিহারী সবার চেয়ে ভাল
বক্তা:
শত্রুঘ্ন সিনহা (অভিনেতা ও সাংসদ, তৃণমূল কংগ্রেস)
৭:১৫ – ৮:০০ মিনিট: ভবিষ্যতের ভারত – আদানির দৃষ্টিভঙ্গি
বক্তা:
প্রণব আদানি
৮:০০ – ৯:০০: বিজেপির হয়ে হ্যাটট্রিক করবেন হিমন্ত?
বক্তা:
হিমন্ত বিশ্বশর্মা (মুখ্যমন্ত্রী, অসম)
আজ থাকছেন বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কংগ্রেস নেত্রী রঞ্জিত রঞ্জন, শিবসেনার নরেশ মাস্কে, আরজেডির সুধাকর সিং, এলজেপি (আর)-এর অরুণ ভারতী, সমাজবাদী পার্টির রাজীব রাই, কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং ও সচিন পাইলট সহ আরও অনেকে।