ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলের ছাদ ভেঙে ঢুকে গিয়েছে ওই বিমানটি, ভয়াবহ সেই মুহূর্ত

জানা যাচ্ছে, ওই বহুতলে প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন থাকতেন। দুর্ঘটনার সময়ে যারা সেখানে ছিলেন, তাঁদের পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে, অনেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছবিতে হস্টেলের ক্যান্টিনের টেবিলে কিছু খাবারের প্লেট পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়ালের কাছে লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন।

ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনস এক্স হ্যান্ডেলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আহমেদাবাদে এআই-এর দুর্ঘটনার খবরে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। বিজেএমসি-র হোস্টেলে বিমান ভেঙে পাওয়ার খবর এবং অনেক এমবিবিএস পড়ুয়ার আহত হওয়ার বিষয়টি জানার পরেই খবরটি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।'

বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৪০ মিনিটে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার আহমেদাবাদ-লন্ডনগামী AI 171 বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানে ১২ জন ক্রু মেম্বার ও ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রী তালিকায় ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। তাঁর অবস্থা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। এটিসি অনুসারে, বিমানটি রানওয়ে ২৩ থেকে দুপুর ১:৩৮ মিনিটে ওড়ে। কিছুক্ষণ পরেই, ক্রুরা মে ডে কল জারি করে। এরপরে আর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি বিমানবন্দরের বাইরে ভেঙে পড়ে। তারপরেই বিমানে আগুন লেগে যায়। বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। তাঁকে সহায়তা করেছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) তিনটি দলকে গান্ধীনগর থেকে বিমান দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এনডিআরএফ জানিয়েছে, ভদোদরা থেকে আরও তিনটি দলকে পাঠানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক এবং দুঃখিত করেছে। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো হৃদয়বিদারক। এই দুঃখের মুহূর্তে, আমার চিন্তাভাবনা এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সকলের সঙ্গে। মন্ত্রী এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।'