একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ওয়ারিস পাঞ্জাব দে প্রধান এবং খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং কুরুক্ষেত্রের শাহাবাদ এলাকায় রাস্তায় হাঁটছেন৷ ক্লিপটিতে, পলাতক অমৃতপালকে হালকা-নীল শার্ট এবং কালো প্যান্টে একটি আবাসিক এলাকার রাস্তা পার হতে দেখা যায়। তাঁকে একটি ছোট ব্যাগ ও একটি কালো ছাতা বহন করতে দেখা গেছে।
বালজিৎ কৌর নামে একজন মহিলাকে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলায় তার বাড়িতে অমৃতপাল এবং তার সহযোগী পাপালপ্রীত সিংকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শাহাবাদ এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশ ওয়ারিস পাঞ্জাব ডি প্রধান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করার পর থেকে অমৃতপাল সিং পলাতক। বৃহস্পতিবার ৬তম দিনে অভিযান শুরু হয়। ৫০টিরও বেশি গাড়ির একটি কনভয় গত সপ্তাহে অমৃতপাল সিংকে তাড়া করেছিল। কিন্তু তিনি পালান। খালিস্তানি নেতা সম্ভবত দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৫ বার গাড়ি বদল করেছিলেন অমৃতপাল।
আরও পড়ুন-'ওড়িশায় সাইক্লোন হলে বাংলাতেও প্রভাব পড়ে, কিন্তু নবীনজির নেতৃত্ব দারুণ,' ভূয়সী প্রশংসায় মমতা
এক সপ্তাহ ধরে খালিস্তানি নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পঞ্জাব পুলিশ। গত সপ্তাহেই তাঁকে প্রায় ধরে ফেলেছিল পুলিশ, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাইকে চেপে পালিয়ে যায় অমৃতপাল সিং। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে চিরুণি তল্লাশি। গোটা পঞ্জাব জুড়ে খোঁজাখুঁজি করা হলেও, কোথাও ওই পলাতক খালিস্তানি নেতার খোঁজ মেলেনি। এরপরই পুলিশের তরফে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে ভোল বদলে হয়তো ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। এবার তার প্রমাণও মিলল। পঞ্জাবের প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানায় (Haryana) দেখা মিলল অমৃতপাল সিংয়ের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বলজিৎ কৌর নামে এক মহিলার বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল ও তাঁর অন্যতম সহকারী পপলপ্রীত সিং। পুলিশের হাতে যে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন অমৃতপাল সিং। তাঁর পরনে ছিল সাদা শার্ট ও গাঢ় নীল রঙের ডেনিম। রাস্তায় লাগানো সিসিটিভিতে যাতে তাঁর মুখ ধরা না পড়ে, তার জন্য সুকৌশলে কালো ছাতা দিয়ে মুখ সম্পূর্ণ ঢেকে রেখেছিলেন অমৃতপাল।
অমৃতপাল সিং ওয়ারিস দে পঞ্জাব সংগঠনের নেতা। প্রয়াত অভিনেতা দীপ সিধুর নেতৃত্বেই এই সংগঠন শুরু হয়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় দীপ সিধুর মৃত্যুর পর অমৃতপাল এই সংগঠনের দায়িত্ব নেন।