বাল্য বিবাহের পর এবার অসমের মাদ্রাসাগুলির ওপর ক্র্যাকডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানিয়েছেন, মাদ্রাসায় নয়, মানুষ স্কুল-কলেজে শিক্ষা নিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমি ৬০০টি মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। এবং আমি সব মাদ্রাসা বন্ধ করতে চাই। কারণ আমরা মাদ্রাসা চাই না। আমরা স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় চাই। ” বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের বেলাগাভিতে বিজেপির বিজয় সংকল্প যাত্রায় ভাষণ দেওয়ার সময় হিমন্ত একথা বলেন।
হিমন্ত ২০২০ সালে অসমে একটি বিতর্কিত আইন চালু করেছিলেন, যার অনুসারে সমস্ত রাষ্ট্র-চালিত মাদ্রাসাকে স্কুলে পরিণত করা হবে। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অসমে ৩ হাজার মাদ্রাসার খোঁজ মেলে। তিনি তাঁর ভাষণে এদিন জানান, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরাই দেশেই সংস্কৃতি কলুষিত করছে। তিনি কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের মুঘলপন্থী বলেও কটাক্ষ করেন। ভারতের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ তোলেন।
হিমন্তের কথায়, “কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা দেখিয়েছিল যে ভারতের ইতিহাস বাবর, আওরঙ্গজেব এবং শাহজাহানকে নিয়ে। আমি বলতে চাই যে ভারতের ইতিহাস তাদের সম্পর্কে নয় বরং ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ, গুরু গোবিন্দ সিং, স্বামী বিবেকানন্দের সম্পর্কে ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতে অনেক মানুষ গর্ব করে বলে যে তারা মুসলিম এবং খ্রিস্টান। এতে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে আমাদের এমন ব্যক্তির প্রয়োজন যে গর্ব করে বলতে পারে যে আমি একজন হিন্দু। ভারতে আজ এমন ব্যক্তির প্রয়োজন।”