ধর্মীয়স্থানের কাছে মৃত পশুকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। অসমের ধুবড়িতে উত্তেজনায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অশান্তিকারীদের বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, "বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধুবড়ি জেলায় রাতেও গুলি করে হত্যার নির্দেশ বহাল থাকবে।" রবিবার ধুবরি শহরের ধর্মীয়স্থানের কাছে মৃত পশুর দেহাংশ পাওয়ার পর মানুষজন বিক্ষোভ শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৩৮ জন গ্রেফতার।
শুক্রবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ধুবড়ি সফর করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বলেন, জেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) এবং CRPF কর্মীদের মোতায়েন করা হবে। একই সঙ্গে, ধুবড়ির সমস্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছে, বকরি ঈদের পরের দিন অর্থাৎ ৭ জুন, জেলা সদরের ধর্মীয়স্থানের কাছে মৃত পশুর দেহাংশ পাওয়া গেছে।
এর পরে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। শান্তি ও সম্প্রীতির আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা। বলেন, প্রথমে পশুর দেহাংশ রাখা, তারপর রাতে পাথর ছোড়া হয়েছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বকর ঈদের একদিন আগে, ‘নবীনা বাংলা’ নামে একটি সংগঠন ধুবড়িকে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে “উস্কানিমূলক পোস্টার” লাগিয়েছিল।
বকরি ঈদকে কেন্দ্র করে এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার পশু আনা হয়েছে। ধুবড়িতে একটি 'মাংস মাফিয়া' আবির্ভূত হয়েছে। বকরি ঈদের ঠিক আগে হাজার হাজার পশু কিনে নিয়েছে। যারা এই ব্যবসা শুরু করেছে তাদের গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।