Advertisement

Bangladesh : ভারতে বাড়ছে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি, বাংলাদেশ কাণ্ডের পর সন্ত্রাসবাদীদের বাড়বাড়ন্ত

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে এই অচলাবস্থার মধ্যেই শক্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। ভারতেও সক্রিয় হয়ে উঠছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের এই আন্দোলন ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত বলা হলেও এর নেপথ্যে কাজ করেছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন।

Bangladesh (File Photo)
Aajtak Bangla
  • ঢাকা ও দিল্লি ,
  • 12 Aug 2024,
  • अपडेटेड 6:10 PM IST
  • গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে এই অচলাবস্থার মধ্যেই শক্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো
  • ভারতেও সক্রিয় হয়ে উঠছে তারা

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। অন্তর্বতীকালীন সরকার বাংলাদেশ চালাবে। তবে এখনও সেই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে এই অচলাবস্থার মধ্যেই শক্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। ভারতেও সক্রিয় হয়ে উঠছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের এই আন্দোলন ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত বলা হলেও এর নেপথ্যে কাজ করেছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। বিশেষ করে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ক্ষেত্রে এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর হাত রয়েছে। 

সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের লস্কর-ই-তইবার মতো সংগঠন আনসারুল্লা বাংলার মতো বাংলাদেশী জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে সেখানে সন্ত্রাসবাদী মূলক কাজকর্ম চালিয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর ছক কষছে এই সন্ত্রাসবাদী দলগুলো। 

গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (ISI) শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। জামায়াত-ই-ইসলামিও ও এবিটি সহ অন্য একাধিক নিষিদ্ধ গোষ্ঠী একজোট হয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছে। 

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০২২ সালে এবিটি লস্করের সঙ্গে জোট বাঁধে। ভারতে হামলার পরিকল্পনা করে তারা একজোট হয়। সেই বছরই ৫০ থেকে ১০০ এবিটি ক্যাডার ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করে। 
একই বছর, অসামে ABT-এর সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। 

২০০৭ সালে এই আনসারুল্লা বাংলা টিম তৈরি হয়। ২০১৫ সালে এই সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার পর ABT ফের আনসার আল-ইসলাম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা। ২০১৭ সালে সেটাও নিষিদ্ধ করা হয়। 

তারপর থেকে আনসার আল ইসলাম নিজেদের ভারতীয়  উপমহাদেশে আল-কায়েদার বাংলাদেশি শাখা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছে। এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বহু ধর্মনিরপেক্ষ ও অমুসলিমদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে।  

সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টাল অনুসারে, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৪২৫ জন এবিটি/আনসার আল-ইসলাম সদস্য  গ্রেফতার হয়েছে। তার থেকেই প্রমাণিত হয়, এই জঙ্গি সংগঠন কতটা প্রভাব বাড়িয়েছে।  

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement