
আগামী ৫ বছরের জন্য বিহারের কুর্সিতে কে বসতে চলেছেন? আজ মিলছে সে প্রশ্নের উত্তর। প্রায় সবক’টি বুথফেরত সমীক্ষাতেই RJD, কংগ্রেস, বিকাশশীল ইনসান পার্টি এবং তিন বামদলের ‘মহাগঠবন্ধন’ পিছিয়ে। NDA ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে পটনায়, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে এক্সিট পোল। তবে সবক্ষেত্রেই যে এই বুথফেরত সমীক্ষার ফল অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে, তেমনটা নয়। এটি কেবলমাত্র একটি আভাস। আজ সকাল ৮টায় পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয়েছে। EVM গণনার সময় অসঙ্গতি থাকলে দেখা হবে VVPAT স্লিপ। নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ফল https://results.eci.gov.in-তে পাওয়া যাবে। এবার ভোটের হার ৬৭.১৩%। ১৯৫১ সালের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ ভোটাদান বিহারে। এখনও পর্যন্ত ২,৬১৬ জন প্রার্থীর কেউই পুনর্নির্বাচনের দাবি করেননি। ১২টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলও চায়নি পুনর্নির্বাচন। ভোটদানের ক্ষেত্রে অবশ্য নজির গড়েছে বিহার। নির্বাচনী ইতিহাসে বিহারের এবারের ভোটদান সর্বকালীন রেকর্ড।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে এনডিএ। পাটনায় পড়েছে "বিহার মানে নীতিশ কুমার" লেখা পোস্টার। নির্বাচন কমিশনের মতে, শুক্রবার সকালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, প্রাথমিক ট্রেন্ডে, ক্ষমতাসীন এনডিএ ১৯১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। গণনার ঘণ্টাখানেক পরই ১২২-এর ম্যাজিক সংখ্যা অতিক্রম করে যায়। বিরোধী মহাজোট ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৪৮ টি আসন পেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
বিহারে কুটুম্বা আসন থেকে ৩,০০০ ভোটে এগিয়ে এইচএএম প্রার্থী লালন রাম
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমর্থকরা পটনায় জেডি(ইউ) অফিসের বাইরে আনন্দে মেতেছে। চলছে লাড্ডু বিতরণ। নিতীশের নামে জয়ধ্বনিও দেওয়া হচ্ছে।
১০ হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে তেজস্বী যাদব।
ল্যান্ডস্লাইড জয়ের পথে NDA। শাসক জোট এখনও পর্যন্ত পেরিয়ে গিয়েছে ১৯২ আসন। RJD-র নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন এগিয়ে রয়েছে ৪৮ আসনে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে NDA বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, "এটা অপ্রত্যাশিত নয়। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম যে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমরা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।"
বিহার নির্বাচন: 'বিরোধী দল হারছে, বিহারের 'উন্নয়ন' জিতছে', এক্সপোস্ট JDU-র
BJP না JDU, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কে? বিহারের ফলগণনা যত এগোচ্ছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। BJP ৭৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে, JDU ৭৬টিতে।
মহুয়া বিধানসভা আসনে তৃতীয় রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। মহুয়ায় LJPর সঞ্জয় সিং এগিয়ে আছেন। তিনি ১০,৩০১ ভোট পেয়েছেন। JJD-র তেজ প্রতাপ যাদব পেয়েছেন ১,৫০০ ভোট। আরজেডির মুকেশ রোশন পেয়েছেন ৬,৭৮১ ভোট। রাজাপাকড় বিধানসভা আসনে, জেডিইউর মহেন্দ্র রাম ১১,৩২১ ভোট নিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে এগিয়ে রয়েছেন। সিপিআইয়ের মোহিত পাসোয়ান পেয়েছেন ২,৬৯৭ ভোট এবং কংগ্রেসের প্রতিমা দাস পেয়েছেন ৩,২৬৬ ভোট।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং লখিসরাইয়ের BJP প্রার্থী বিজয় কুমার সিনহা বলেন, 'আমরা যা ভেবেছিলাম, ফল তেমনই হচ্ছে। বিহারের মানুষ নীতীশ কুমার এবং নরেন্দ্র মোদীর উপর যে ভরসা রেখেছেন তা দেশকে নয়া দিশা দেখাবে। কোনও কিছু ভাবনাচিন্তা ছাড়াই আপ্পু ও পাপ্পু পাগলামি করে গিয়েছে। ফলে কেউ তাঁদের সিরিয়াসলি নেয় না। এক্সিট পোলের থেকেও ভাল ফল হবে আমাদের।'
বৈশালীর রাঘোপুর আসনে, প্রথম রাউন্ডের গণনায় আরজেডির তেজস্বী যাদব ৪,৪৬৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর বিরোধী দল বিজেপির সতীশ রাই ৩,৫৭০ ভোট পেয়েছেন। আরজেডির দুর্গে তেজস্বী যাদব ৮৯৩টি ভোটে এগিয়ে।
বিহারের ভোটের ট্রেন্ড নিয়ে বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, 'প্রতিটি নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলির জন্য একটি গণতান্ত্রিক পাঠ এবং জনসাধারণের বার্তা নম্রভাবে গ্রহণ করা উচিত।
প্রাথমিক ট্রেন্ডে NDA জোটে ৭৫ আসনে এগিয়ে JDU, বিজেপির ৭১টি আসন, LJP ১২ ও অন্যান্যরা ৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে RJD ৫৮টি আসন, কংগ্রেস ১৪টি আসন, অন্যান্য ৪টি আসনে পিছিয়ে রয়েছে।
"বিহারে আমরা জিতছি, এবার পালা বাংলার। আমরা বাংলাতেও জিতব। ওখানে অরাজকতার সরকার চলছে", আজ তকে বললেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।
প্রাথমিক ট্রেন্ডে ১৫৯টি আসনে এগিয়ে NDA। বিরোধী মহাগঠবন্ধন ৭৩টি আসনে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। NDA জোটে বিজেপি ৮০টি আসন, জনতা দল ইউনাইটেড ৬৯টি, লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ৮ টি এবং এইচএএম (এস) ২ টি আসন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে।
মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিক ফিগার ক্রস করে গেল NDA। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের ট্রেন্ড বলছে ১২২ পার করে গিয়েছে RJD নেতৃত্বাধীন শাসক জোট। ১৩০-এ পৌঁছে গিয়েছে NDA। এদিকে মহাগঠবন্ধন এগিয়ে রয়েছে ৭৩টি আসনে।
বিহারের আর্লি ট্রেন্ড দেখে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা বলেন, 'আপ্পু এবং পাপ্পুকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।'
প্রথমে ধাক্কা খেলেও মহুয়া আসন থেকে এগিয়ে গেলেন তেজ প্রতাপ।
ভোজপুরী বেল্টে মহাগঠবন্ধনকে জোর টক্কর দিচ্ছে NDA। এই বেল্টই RJD-র শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আর্লি ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে NDA এই বেল্টের ৪৯টির মধ্যে ১৭ আসনে এগিয়ে। মহাগঠবন্ধন এগিয়ে ১৪ আসনে। ২০২০ সালে এই বেল্টে মহাগঠবন্ধন একচেটিয়ে আধিপত্য রেখেছিল।
রাঘোপুর আসনে এগিয়ে তেজস্বী যাদব। মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তিনি।
তারাপুর আসনে এগিয়ে সম্রাট চৌধুরী। আলিনগরে এগিয়ে মৈথিলী ঠাকুর। কেশরি লাল যাদব এগিয়ে চাপড়া আসনে।
মহুয়া আসন থেকে পিছিয়ে রয়েছেন তেজ প্রতাপ। নির্দল হিসেবে লড়েছেন তিনি।
বিহার ভোটে টানটান লড়াই। NDA এগিয়ে ৫৮টি সিটে। ও দিকে বিরোধী জোট এগিয়ে রয়েছে ৪১টি আসনে।
আপাতত প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টি ২টি সিটে এগিয়ে রয়েছে। এখন দেখার এই লিড তারা বাড়াতে পারে কি না।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া আর্লি ট্রেন্ড বলছে NDA এগিয়ে ২৭ আসনে, মহাগঠবন্ধন এগিয়ে ১৫ আসনে। প্রশান্ত কিশোরের জন সূরয পার্টি এগিয়ে ২টি আসনে।
বিহারে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে এনডিএ। ১২টি সিটে এগিয়ে গিয়েছে তারা। ও দিকে বিরোধী জোট ৭টি সিটে এগিয়ে রয়েছে।
বিহারে গণনা শুরু হতে না হতেই এগিয়ে গেল NDA। এখনও পর্যন্ত ৮টি আসনে এগিয়ে NDA। মহাগঠবন্ধন এগিয়ে ৪টি আসনে।
বিহার বিধানসভায় জয় নিয়ে আশাবাদী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, 'আমরা জিততে চলেছি। সবাইকে ধন্যবাদ। একটা বদল আসতে চলেছে। আমরা সরকার গঠন করব।'
বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩টি। ম্যাজিক ফিগার ১২২টি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট গণনা। এখন দেখার এনডিএ না বিরোধী জোট ক্ষমতা দখল করে নেয়।
দিল্লিতে BJP পার্টি অফিসে এলাহি আয়োজন। তৈরি হচ্ছে লিট্টি চোখা, জিলিপি, ছাতুর পরোটা, বেগুন ভর্তা।
জয় নিশ্চিত দাবি করে এ বার পটনায় বিজেপির সদর দফতরে উৎসব পালনের জন্য ৫০০ কিলোগ্রাম লাড্ডুর বরাত দেওয়া হয়েছে।
এবার মূলত দুটি ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে ভোটের ময়দানে। বিজেপি ও জেডিইউ নেতারা ক্রমাগত জঙ্গলরাজের কথা তুলে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, লালু জমানার সেই সব দিনের কথা। রাহাজানি, অপহরণ, খুন- যখন সাধারণ ব্যাপার ছিল বিহারে। অন্যদিকে, তেজস্বীর প্রচারে অগ্রাধিকার পেয়েছে সব ঘরে সরকারি চাকরি। সেই সঙ্গে একাধিক সরকারি জনমোহিনী প্রকল্প।
গত বিধানসভা ভোট, মানে ২০২০ সালে নীতীশের দল জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩টি আসন। বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৪। আর ৭৫টি আসন পেয়ে এককসংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় এবার ভোটের হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। ৫ বছর আগে ছিল ৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ শতাংশ ভোটদানের হার বৃদ্ধি। ফলে এবার খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে এই বর্ধিত হারই।